সিরাজদিখানে ফসলি জমি হচ্ছে পুকুর; মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়

0
368
প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ : 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কেয়াইন ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটা ও অন্য ফসলি জমি ভড়াটের কাজে বিক্রয়ের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি। সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাকান্দা গ্রামের ফসলি জমিটি ১০-১২ পর্যন্ত গভীর করে  বিশাল জায়গাজুড়ে মাটি কাটার কারণে ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো। প্রায় দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে অবৈধ পন্থায় রাত-দিন ওই জায়গা থেকে ভেকু বসিয়ে মাটি কাটছেন অখিল সরকার ছেলে তন্ময়  সরকার  নামে এক ব্যক্তি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তন্ময়  সরকার  নিমতলা আবাসন হাউজিং কম্পানির পর্টনার শেখ শহিদুলের ছত্র ছায়ায় এই অবৈধ মাটি ব্যাবসা চালিয়ে  যাচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে রাতের বেলা মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি। এছাড়া ও দীর্ঘ কয়েকমাস  ধরে উপজেলার কেয়াইন ও রাজানগর ইউনিয়নের বেশ কয়েক একর ফসলি জিমির  মাটি ইট ভাটায় বিক্রয়  করে আসছে জালাল। এলাকাবাসীর জানায়, এলাকার তিল, শরিসা ও ধানি জমি থেকে স্কেভেটর ভ্যাকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুরে পরিনত করেছে। মাটি খেকো চক্রটি প্রভাবশালী ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা । এইভাবে যদি আর একবছর এই এলাকার মাটি কাটা হয় তাহলে এলাকায় আর ফসলি জমি থাকবে না।

মির্জাকান্দা বাসিন্দা মৃত সেন্টু মিয়ার স্ত্রী আশুদা বেগম যানান, আমি একজন বিধবা মহিলা। এই জমির ফসল দিয়ে আমার সংসার চলে। আমার জমির পাশের তন্ময় সরকারদের যে জমিটির মাটি কাটছে তার পাশের জমিটিই আমার।  এবছর আমার জমির ১৬শতাংশ যায়গায় তিল বুনেছি। এখন খুব চিন্তায় আছি ওরা যে ভাবে মাটি কাটছে তাতে আমার জমি ভেঙ্গে পরবে নিশ্চিত। আমি ওদের বাব বার নিষেধ করার পরও ওরা এইভাবে মাটি কাটতেছে। এখন যদি এই মাটি কাটা  বন্ধ না করে আমি আমার জমিটা হাড়াব। এবিষয়ে তন্ময় সরকার বলেন বলেন, আমি জমিটা মাছ চাষের জন্য পুকুর করছি তাই মাটি বিক্রয় করে দিয়েছি। অন্যের জমি ভাংবে না আমি পুকুরের পার বেধে দিব। জমির শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই এলাকায় অনেকেই জমি কেটেছে কেওই অনুমতি নেয় নাই। তাই আমি ও অনুমতি আনি নাই।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যান কুমার সরকার বলেন, এবিষয়ে আমাদের কাছে কেও কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

আলোকিত প্রতিদিন / ১৯ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here