প্রতিনিধি, বান্দরবান:
বান্দরবানে রুমা উপজেলায় পাইন্দু ইউনিয়নের সামনে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘ ক্ষমতা দখলের থাকা আওয়ামীলীগের দিন দিন অন্তঃকোন্দল বাড়ছে ! ২৩শে শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টা দিকে রুমা বাজার বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্নের এলাকায় ক্যসিংহ্লা মার্মা বাসভবনে পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা ও সাইলুকথাং বম এর সাথে বিরোধ মন্তব্য নিয়ে কথা কাটাকাটি পর রূপ নেয় তুমুল মারামারিতে !
এ বিষয়ে সাইলুকথাং বম মন্তব্য করেন , ‘ দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে যাচ্ছি রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে আজকের এই সমস্যা । গতকাল সকাল ১০ টার দিকে পাখি শিকার করতে যায় রাত ৮.০০ বাসায় আসি, বাসার গেইটের সামনে উহ্লামং মার্মা (চেয়ারম্যান) ছেলে জয় আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি আমার বাবার সাথে সাবেক মেম্বারের বিষয়গুলো নাকি ফেইসবুকে ছেড়েছেন, আমি বলি আমি তো ফেইসবুকে ছাড়িনি। তুমি চলে যাও কালকে তোমার বাবার সাথে আলোচনা করব। যাবার প্রাক্কালে সে আমাকে শাসিয়ে চলে যায়। রাত ৯.৩০ দিকে ক্যাসিংহ্লা ( আমার বাল্য কালের বন্ধু- আমার বাসা হতে যার দুরত্ব ৫০ সেকেন্ডের) তার বাসা থেকে শিকার করা তরকারি নিতে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ফোন করে, বলে তুমি কই, আমি বলি আমি অমুকের বাসায়! সাথে তার ছেলে জয়, জমংপ্রু, অংচোওয়াং নামে ২ ছেলে ছিল। মোবাইলে কথা বলার সময় আরো শুনলাম এই তোমরা রেডি হও। চলো তাড়াতাড়ি। উপস্থিত হওয়ার পরপরেই সে মানে চেয়ারম্যান সাহেব আমার উপর ক্ষেপে অহেতুক ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে বাড়ীর মালিক মানা করতে থাকেন হইচই না করে সুস্থভাবে কথা বলে সমাধান করেন। তারপরে ও চেয়ারম্যান জোরে জোরে কথা বলতে থাকেন (পার্শ্ববর্তী সকলের কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নেয়ার অনুরোধ রইল) এক পর্যায়ে ঘরের পাশে ওৎপেতে থাকা চেয়ারম্যানের সুযোগ্য ছেলে জয় মংসিংগ্য ( বাড়ীর মালিক) উপর অতর্কিত হামলা করেন। পাল্টাপাল্টি হাতাহাতিতে এক পর্যায়ে আটকাতে গেলে বাপ ছেলে মিলে আমাকে মাচাংয়ের নিচে ফেলে দেয়। আবারো নিচে নেমে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দে, আমার বাল্য কালের বন্ধুর ছোট ভাই (মংসিংগ্য) আবার আটকানোর চেষ্টা করেন। এতে আমার দোষ নেই, আমি ও আঘাত প্রাপ্ত হয় রাতে হসপিটালে আমিও ভর্তি হতে পারতাম যদি ভর্তি হতাম হসপিটালে ও আমার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। এখন আমার কথা হচ্ছে আমার যদি চেয়ারম্যানের উপর হামলা করার উদ্দেশ্য থাকত আমি ওনাকে রাস্তায়, ওনার বাসায়, বা কোন পাড়ায় হামলা করতাম, তবে এই ভেবে পায় না যে উনি আমার বাসায় এসে ( আমার বাড়ির সাথে লাগানো ক্যাসিংহ্লার বাসা) আমাকে আহত করে এখন উনিই বলছে আমি তার উপর হামলা করেছি, এখন আপনারাই বলুন?
যে বিষয় টা নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে আমার বিরোধ বিষয়টা তো সত্যি (চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে বলতে পারত তুমি নাকি আমার নামে এসব ছেড়েছ তখন আমি সত্যটা তার সামনে উপস্থাপন করতাম বা বলতাম এইটা ফেইসবুকে দি নাই মেসেঞ্জারে কয়েকজনকে দিছি আপনি যদি বলেন আমি এখনই ডিলেট করে দিব?) সত্যি বলতে আমার এমন মনে হচ্ছে আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য উনি গতকালকের ঘটনা ঘটিয়ে আমার ইমেজটা নষ্ট করছেন এবং আর একটি কথা আমি যখন পাখি শিকার করতে যাই তার ছেলে ( জয়) ২-৩ বার আমার বাসার সামনে অবস্থান করছিল কখন আমি আসব?’ এই বিষয়ে উহ্লামং চেয়ারম্যান এর কোন বক্তব্য নিতে পারেনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায়।
রুমা সচেতন ব্যক্তি অনেকেই মনে করছেন, উহ্লামং মার্মা (চেয়ারম্যান) দায়িত্ব পালনের ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে তা বলে উনার ছেলে কিশোর গ্যাং স্টাইলে বেপোরোয়া ছেলেদের নিয়ে আক্রমণ করা চলাফেরার করা কোন মতেই কাম্য নয় । যা এলাকার শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট হতে পারে ! এই প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত কোন ধরনের মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৪ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ