প্রতিনিধি, নোয়াখালী:
নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ২০ নং আণ্ডারচর ইউনিয়নের আণ্ডারচর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম ভুঁইয়া পরিবারে ১ লা জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।পিতা মরহুম মৌলভী তোফায়েল আহমেদ ও মাতা আয়েশা খাতুনের জ্যেষ্ঠ সন্তান। আবু বকর ছিদ্দিক নোয়াখালী কারামতিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৭২ সালে কামিল ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,চাকুরী জীবনে নওগাঁ জেলার জোয়ানপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। এরপর ১৯৮১ সালে জুনে নোয়াখালী সদরে পশ্চিম চরমটুয়া সফিগঞ্জ রাব্বানীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে যোগদান করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে সরকারি এমপিও ভূক্তকরণে মূল ভূমিকা পালন করেন নিজের হাতে গড়া সে প্রতিষ্ঠানে চাকরীর শেষদিন পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর হাত ধরে কতশত ছাত্র-ছাত্রী বেরিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে ২০১১ সালে এলাকাবাসীর জোরালো দাবীর মুখে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্হানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুরোধে আওয়ামীলীগে হাজার জনতা নিয়ে ব্যাণ্ড বাজিয়ে যোগদান করেন। এরপর হতে আণ্ডারচর এলাকায় আওয়ামীলীগকে স্হানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও এলাকায় শিক্ষা আলো ছড়াতে অসংখ্য স্কুল আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমান দৃষ্টিনন্দন ইউপি কার্যালয়টির জন্য নিজের সম্পত্তি থেকে ২০ ডেসিমেল জায়গা দান করে দেন। এছাড়াও এলাকায় একটি সাইক্লোন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আরও ৫০ ডেসিমেল জায়গা সরকারকে দান করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের এ মাওলানা আজীবন অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা লালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কনসেপ্ট গুলো তাঁকে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি বলেন, তাঁর এলাকাটি বৃহত্তর চরমটুয়ার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থেকে স্বতন্ত্র ইউনিয়নে রূপান্তর করার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার করার ফলে ২০০৬ সালে তৎকালীন সরকার ২০ নং আণ্ডারচর ইউনিয়ন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপণ জারী করে। এরপর ২০১১ সালে প্রথম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। আর তখন এলাকাবাসীর চাপে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি নিজেকে ঘুটিয়ে নেন। এর জন্য তাঁকে জনগণের কাছে ব্যপক সমালোচিত হয়েছিলেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, দল যখন করছি তাহলে দলের সিদ্ধান্ত তো আমার জন্য শিরোধার্য। এ নিয়ে বিচলিত না হয়ে বরং তিনি সে প্রার্থী প্রস্তাবক হিসাবে নাম দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। ত্যাগেও যে সুখ এটা যেন মাওলানা ছিদ্দিকের বেলায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কা থেকে প্রার্থী হবেন কিনা? এ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে বলেন, দল ও দলীয় প্রধান এবং এখানকার সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী যদি মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচন করব। আমার নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ সুষ্ঠু ভোটে নৌকাকে আমি বিজয়ী করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। আর এবার বিজয়ী হয়ে আণ্ডারচর ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তাদের সমূলে বিনাশের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, আমার কোন পেটোয়া বাহিনী নেই। এখানকার জনগণকে সাথে নিয়ে আজীবন জনসেবায় নিজেকে ব্রত রেখে পরপারে যেতে চাই।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৭ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ