প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর:
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চাচ্ছেন আ’ওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন মিজান পাটোয়ারী।
গত কয়েক বছর থেকে ইউনিয়নব্যাপী রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন তিনি। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন- এমন প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং জনগণের কলাণে কাজ করতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি। জানা গেছে, মিজান পাওয়ারী দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে আ’লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। ১৯৯২-৯৩ সালে ছাত্রলীগ রাজনীতি দিয়েই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং সদর উপজেলা (পূর্ব) যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এবং সদর থানা আ’লীগের সদস্য এবং লাহারকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন। যুবলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় জেলা যুবলীগের নির্দেশে তার আওতাধীন সবগুলো ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে যুবলীগকে সু-সংগঠিত করেছেন। গেল দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চীফ এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ আ’লীগের বিগত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিল ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি স্থানীয় জকসিন বাজার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সদর থানার সদস্য ছিলেন। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে রয়েছেন তিনি। লাহারকান্দি চাঁদখালী মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং স্থানীয় দু’টি মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জকসিন বাজার পরিচালনা কমিটির প্রভাবশালী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন মিজান পাটওয়ারী। তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং আদর্শে অনুপ্রাণিত। তার মামা আব্দুল হালিম বাসু একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং চাচা আলী হায়দার পাটওয়ারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। লহারকান্দি এলাকায় সরকার বিরোধী জামায়াত-বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের নামে নৈরাজ্য প্রতিহত করেছেন তিনি।
এছাড়া দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং জাতীয় দিবসগুলোতে কর্মী যোগান এবং আর্থিক সহযোগীতা করে আসছেন। আ’লীগ নেতা মিজান পাটওয়ারী জানান, এক সময় লাহারকান্দির যুগিরহাট এবং জকসিন বাজারসহ বিভিন্নস্থানে হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা যখন নৈরাজ্য শুরু করেছে- তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দমনে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে নাশকতা এবং বিস্ফোরকসহ বেশ কয়েকটি মামলার বাদি এবং স্বাক্ষী তিনি। ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাও চালিয়েছে। প্রতিহিংসাবশত জকসিন বাজারে তার দু’টি মার্কেটের ২১টি দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায়ও জড়ানো হয়েছে তাকে। এতো কিছুর পরেও তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাননি। নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চান তিনি। তিনি আরও জানান, রাজনীতির শুরু থেকেই লাহারকান্দিতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দলীয় কর্মকান্ডের সাথে তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। দলীয় পদবিতে আদিষ্ট হওয়ার পর থেকে সাংগঠনিক এবং জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো তার নেতৃত্বে হয়ে আসছে।
এতে কর্মীর পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতাও করে আসছেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও অত:প্রোতভাবে জড়িত এ আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্ব পুরুষ এ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আমার দাদা নুরুল হক পাটোয়ারী, পিতা রাজ্জাকুল হায়দার পাটওয়ারী, চাচা আলী হায়দার পাটওয়ারী এবং ভাই সদ্য প্রয়াত মোশারফ হোসেন মশু পাটওয়ারী পর্যায়ক্রমে লাহারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। এছাড়া আমার নানা ওজি উলা মিয়া ও মামা আব্দুল আলিম হাসু পার্শ্ববর্তী বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমিও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। তবে যেহেতু আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের সুদৃষ্টি কামনা করি। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে, ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করে দলের ভাবমুর্তি উজ্জল করতে সক্ষম হবো। এছাড়া জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড এবং এলাকার জনগণের উন্নয়নের নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবো।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৯ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ