প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী:
ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১১টা নাগাদ ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিতা ওই এলাকার বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী। গৃহবধূর শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু বলেন, ‘আমার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করে। সেই সুবাদে বেশকিছু মানুষকে ওই প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছে সে। আজ বেলা ১১টায় চারজন যুবক চাকরির জন্য বাড়িতে আসে। এ সময় বায়োজিদ বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করে আমার পুত্রবধূ মুক্তি খাতুন রিতা। আমি ঘরে কোরআন পড়ছিলাম। তারা আমার পুত্রবধূকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে আমি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়।’ হত্যাকারীদের মধ্যে তিনি একজনকে চিনতে পেরেছেন। তার নাম সাব্বির হাসান, বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল চরগোবিন্দপুর গ্রামে। বাকিদের মুখে মাস্ক থাকায় তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। নিহত গৃহবধূ রিতার স্বামী বায়েজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তার নানির বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এসে দেখেন তার স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন। এলাকাবাসী জানান, বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরির কারণে টাকার বিনিময়ে অনেক মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। হয়তো চাকরির জন্য টাকা-পয়সা লেনদেন এর বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি নৃশংস। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, যে কি কারণে রিতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। রিতার শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া কিছু নামের তালিকা ধরেও তদন্ত করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১১টা নাগাদ ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিতা ওই এলাকার বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী। গৃহবধূর শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু বলেন, ‘আমার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করে। সেই সুবাদে বেশকিছু মানুষকে ওই প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছে সে। আজ বেলা ১১টায় চারজন যুবক চাকরির জন্য বাড়িতে আসে। এ সময় বায়োজিদ বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করে আমার পুত্রবধূ মুক্তি খাতুন রিতা। আমি ঘরে কোরআন পড়ছিলাম। তারা আমার পুত্রবধূকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে আমি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়।’ হত্যাকারীদের মধ্যে তিনি একজনকে চিনতে পেরেছেন। তার নাম সাব্বির হাসান, বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল চরগোবিন্দপুর গ্রামে। বাকিদের মুখে মাস্ক থাকায় তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। নিহত গৃহবধূ রিতার স্বামী বায়েজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তার নানির বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এসে দেখেন তার স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন। এলাকাবাসী জানান, বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরির কারণে টাকার বিনিময়ে অনেক মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। হয়তো চাকরির জন্য টাকা-পয়সা লেনদেন এর বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি নৃশংস। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, যে কি কারণে রিতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিআইডির বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। রিতার শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া কিছু নামের তালিকা ধরেও তদন্ত করা হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন / ৩০ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ