রুমায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ অসমাপ্তের নেপথ্যের রহস্য

0
498
প্রতিনিধি, বান্দরবান:
মাননীয় বিশ্ব মডেলের রূপকার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানে রুমা উপজেলায় প্রথম ধাপে ৭০টি গৃহায়ণ প্রকল্পের উপহার স্বরুপ বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট বরাদ্দ রয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা মাত্র। ১ম ধাপে পাইন্দু এবং রুমা সদর ইউনিয়নে ৭০ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ক্যহ্লাপ্র মার্মা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ২নং সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বগামুখ পাড়ার বাসিন্দা । ক্রয় সুত্রে রুমা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি অল্প জায়গায় ছিল, দীর্ঘদিন ধরে ঘর নির্মাণ করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ উপহার স্বরুপ ঘর পাওয়া খুব আনন্দিত হয়েছেন। কিন্তু এই প্রতিবেদকের সাথে ঘর নির্মাণের বিষয়ে কথা বলে তিনি তার আতর্নাদের কথা বলে আপ্লূত হয়ে পড়েন ! তিনি বলেন, নিজ অর্থায়নের এই ঘরের জন্য বালি ৫০ফুট, সিমেন্ট ১৪ব্যাগ,রড ৫০কেজি, ইট ১০০০হাজার , মিস্ত্রী খরচ ৮০০০ হাজার সহ গাড়ি ভাড়ার দিয়েছেন । তা খুবই কষ্টকর ! এখনো তার ঘরে টিন দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ক্যহ্লাপ্র মার্মা । এই বিষয়ে তিনি উপজেলা পিআইও অফিসে কর্মরত দিপংকর চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন সাথে বার বার দেখা করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না ! বরং উল্টো  শাসানি খেয়েছেন ! অন্য দিকে রুমা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ছাইপু  মার্মা জনগোষ্ঠীর একটি পাড়ায় ১১/১২ উপকারভোগীর মধ্যে ৭/৮জন সাথে কথা জানতে পারি, তারাও উপায়ন্তর না দেখে নিজ অর্থায়নের প্রয়োনীয় কাঠ ও টিন নিয়ে কাজ করে ফেলবেন ! প্রতিটি ঘরের জন্য সরকারিভাবে উপকরণ বন্টন দেওয়া হয়েছে ইট ৪,০০০ (চার হাজার) টি, বালি-৩০০ ফুট, কংক্রিট-৫০ ফুট, সিমেন্ট-৪০ বস্তা, রড-২৫ কেজি, লোহার দরজা-০২ টি,  লোহার জানালা- ০৩ টি, বাথরুমের চাক-০৪ টি , কমেট-০১ টি, পাইপ-০১ টা, রঙ্গিন টিন-৩১ টি ৬ ফুট টিন- ১৮ টি, ৭ ফুট টিন-৬ টি, ৮ ফুট টিন – ০৭ টি, রাজমিস্ত্রী বিল (কন্ট্রাক্ট -৩৫,০০০/-এবং টিনমিস্ত্রী বিল (কন্ট্রাক্ট-৫,০০০/-বলে জানা গেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন,  গৃহহীন ও নিঃসম্বল পরিবারের নামীয় তালিকা ইউএনও অফিস এবং পিআইও অফিসে প্রেরণ করা হলেও  যারা ক্যারিং খরচ সহ সরকারি বরাদ্দের টাকার বাহিরে নিজ  টাকা দিয়ে ঘর তৈরী করতে পারবে তাদেরকে সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও যাদের পাড়া মেইন রোড/ রাস্তা হতে অনেক ভিতরে সেই সকল গরীব ও গৃহহীনরা নিজেদের ক্যারিং খরচের অভাবে সরকারি ঘর পেতে বঞ্চিত হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিধি বিহীন ছোট ছোট জনগোষ্ঠীর, তাদের ভৌগোলিক অবস্থান গহীন অরণ্যে  এই কারণে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘর নির্মাণের প্রকল্প থেকে একেবারেই বঞ্চিত হচ্ছে । কিন্তু কাঠের কাঠামো তৈরি করতে পারলে কম বেশি সকল জনগোষ্ঠীর ঘর নির্মাণের সুযোগ পেত । পাইন্দু ইউপি এবং রুমা সদর ইউপিতে প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র রাস্তার আশেপাশে ঘর নির্মিত হচ্ছে এবং যারা মেইন রাস্তা হতে নিজেদের ক্যারিং খরচ দিয়ে মালমাল নিতে পারছেন তারাই ঘর পাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে রুমা উপজেলাস্থ তিনটি ইউনিয়নে রুমা সদর, পাইন্দু ও গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের  ২২০ টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায় । তবে দ্বিতীয় ধাপে  বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
আলোকিত প্রতিদিন / ০১ মে, ২০২১ / দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here