প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী বাজারে প্রতিদিন তৈরী করা হচ্ছে নামী-দামী ব্রাণ্ডের আইসক্রীম। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে এসব নকল আইসক্রীম খেয়ে অসুস্থ্য হচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাকী সুপার আইসক্রীম নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করছে বিভিন্ন ব্রাণ্ডের আইসক্রীম । এর মধ্যে অন্যতম চকবার, আইসললী, রোবো, লেমন, ওরেঞ্জ, ইগলু, পোলার, এ্যাংরি বার্ডসহ বিভিন্ন কোম্পানীর আইসক্রীম। এসব আইসক্রীমের প্যাকেটে নেই কোনো মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, বিএসটিআইসহ অন্যান্য তথ্য। মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বিহীন এসব আইসক্রীম বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারে। অধিক মুনাফার আশায় খুচড়া ব্যবসায়ীরা এসব কারখানায় তৈরী আইসক্রীম ব্রিক্রি করছে। খাবার রঙের পরিবর্তে কাপড়ের রঙ, চিনির পরিবর্তে স্যাকারিন, অস্বাস্থ্যকর ফ্লেবার, ডালডাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব আইসক্রীম তৈরী হয়। আইসক্রীম তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে লাকী সুপার আইসক্রীমের মালিক বাবুল আকন বলেন, আমরা কীভাবে আইসক্রীম তৈরী করব তা আপনাদের(সাংবাদিকদের) বলব কেন? বিএসটিআইসহ আমাদের সকল কাগজপত্র ঠিক আছে, শরীয়তপুর থেকে প্রতি বছর সরকারী অফিসাররা এসে কাগজ রি-নিউ করে দিয়ে যায়। শরীয়তপুর গিয়ে অফিস থেকে কাগজপত্র দেখুন। প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, বিএসটিআইর লোগো কেন দেন না জানতে চাইলে বলেন, এসব আমার ব্যাপার আপনাদের না। মুমিনুল ইসলাম রায়হান নামে একজন অভিযোগ করেন, গ্রীষ্মের প্রচন্ড- গরমে রোজা রেখে সন্ধ্যায় একটু ঠাণ্ডা পানীয় হলে শরীরটা ভালো লাগে, তাই ইফতারে আইসক্রীম খাই একদিন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং জানতে পারি আইসক্রীমটি শরীয়তপুরেই তৈরী। উল্লেখ্য জেলার প্রায় সকল উপজেলায়ই রয়েছে এরকম ভেজাল আইসক্রীম তৈরীর প্রায় ৪০ টি কারখানা। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলার সহকারি পরিচালক সুজন কাজী দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, চিকন্দী বাজারে যে আইসক্রীম ফ্যাক্টরী আছে তা আমাদের জানা ছিল না বা ওখানে কখনো পরিদর্শনে যাইনি। যদি কেউ নকল পণ্য তৈরী করে তাহলে আইনে বিধি-নিষেধ আছে। নকল পণ্য তৈরী করা যাবে না, করলে জরিমানা, জেল বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আমরা সেখানে তদারকি করে দেখব, আসলে বিষয়টা কী!
আলোকিত প্রতিদিন / ০৬ মে, ২০২১ / দ ম দ
