প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ :
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল থামেনি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিজীবীরা কাজে যোগদানের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটেছিলেন এসব মানুষ। এদিকে দেশজুড়ে চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস বন্ধ। সেই সঙ্গে শিমুলিয়া ঘাটের ৮৭ টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট ও প্রায় দুই শতাধিক ট্রলারও বন্ধ রয়েছে। এসব গণনৌপরিবহন বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ রুটের যাত্রীরা ভিড় করছেন ফেরিগুলোতে। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ মে সকাল থেকেই ১৭টি ফেরির প্রতিটিতেই একই রকমের গাদাগাদির চিত্র দেখা গেছে। ফেরি থেকে নেমে ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও ট্রাকযোগে রওনা হচ্ছে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে ফেরি ছাড়া সব নৌযান বন্ধ। ফলে ফেরিতেই সব চাপ পড়ছে। ফেরিতে মানুষ বেশি গাড়ি কম। মানুষের চাপে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো যাচ্ছে না। ১৭টি ফেরি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ মে, ২০২১/ দ ম দ