প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর গ্রামে ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেটের জমি ইজারা ও লাগিয়তের বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা থাকার পরও তা অমান্য করে জমি লাগিয়ত কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগিরা নতুন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশনামা সহকারে একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগে জানান, মরহুম আনোয়ারুল আজিম চৌধুরীর পুত্র সাইফুল কবির চৌধুরী তথ্য গোপন করে ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেটের মতোওয়াল্লী বংশের অগোচরে বিগত ২০১১-২০১২ সালে মতোওয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ নেন।এরপর থেকে অযাচিত কারণ বশত: উক্ত এষ্টেটের জমি সমূহের উপর বর্বরােচিত লােলুপ দৃষ্টি ও জবর দখলের মাধ্যমে এই জমি ও জমি লাগিয়তের টাকা সমূহ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। সম্পত্তি লাগিয়তের পরও দেখা যায়, এই এষ্টেটের বাগানের ফলজ গাছ কেটে বিক্রয় করে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন প্রদান করা হয় । এইভাবে বহুবার গাছ কাটার পর সর্বশেষ গাছ বিক্রির টাকা সহ সাইফুল কবির ও মানিক গং দের হাতে নাতে ধরা হয় । যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়া অবগত রয়েছেন। এর মধ্যে গত ২০১২ সালে সাইফুল কবির হাইকোর্ট বিভাগে মতােয়াল্লীর জন্য রীট পিটিশন নং- ৩২০৯/২০১২ইং দায়ের করেন। উক্ত রীট পিটিশন মামলায় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ দীর্ঘ আলােচনা-পর্যালােচনান্তে বিগত ৭সেপ্টেম্বর ২০ইং রীট পিটিশন মামলাটি খারিজ করে দেন। ফলে বাদী সাইফুল কবির অধিকতর ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমানে ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেটের জমি সমূহ গােপনে ও স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন চাষীদের মাঝে অগ্রিম লাগিয়ত করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সাইফুল স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ কাহারাে কোন ধরণের কথার কর্ণপাত করছে না। ভুক্তভোগিদের পক্ষে ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেটের মূল ওয়ারিশদার মরহুম নুরুল কবির চৌধুরীর পুত্র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়া বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেট নিয়ে চার দফা নিষেধাজ্ঞা ১) মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থি কোন ব্যক্তি জমি লাগিয়ত করিতে পারিবে না। ২) নির্ধারিত সময়ের পূর্বে স্বল্প মূল্যে জমি লাগিয়ত করা যাইবে না । ৩) মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়াকে প্রধান রাখিয়া মতােওয়াল্লী পরিবারের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমি ইজারা প্রদান করা হইবে ৪। ইজারাকৃত জমি ও জমির পরিমাণ, কৃষকের নাম, মােবাইল নাম্বার ও অর্থের পরিমাণ জানাইতে হইবে মর্মে জারী করেন । কিন্তু সাইফুল কবির এসব কিছু তোয়াক্ষা না করে ফজলুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এষ্টেটের জমি কমমূল্যে লাগিয়তের পায়তারা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার বাহিরে কারো কিছু করার সুযোগ নেই।তদন্ত পূর্বক আদালতের নির্দেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ মে, ২০২১/ দ ম দ