ফটিকছড়িতে তীব্র খরায় ক্ষতির মুখে চা বাগান

0
344
প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি:
বাংলাদেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৭টি চা বাগানের অবস্থান ফটিকছড়ি উপজেলায়। চট্টগ্রামের চায়ের চাহিদার সিংহ ভাগ যোগান দিচ্ছে ফটিকছড়ির চা বাগান গুলো। ফটিকছড়িতে উৎপাদিত চা,  টি বোর্ডে নিলামের পর চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলেও উপহার সামগ্রী হিসাবে নিয়ে যায় হালদা ভ্যালী টি এস্টেট এর চায়ের প্যাক, হালদা ভ্যালী চা বাগানও ফটিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। সারাদেশের মতো ফটিকছড়িতেও বৃষ্টি হচ্ছে না প্রায় ৮ মাস। পানিশূন্যতায় চা বাগানে সৃষ্টি হয়েছে খরা, হচ্ছেনা ফলন, মারা যাচ্ছে হাজার হাজার গাছ। উপজেলার ভুজপুর থানাধীন আছিয়া চা বাগানের ম্যানেজার মমতাজুল হাসান মন্টু জানান, মার্চের শুরু থেকে চা পাতা সংগ্রহ করা হয় কিন্তু টানা ৮ মাস বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চা পাতা সংগ্রহ দূরে থাক গাছ বাঁচানো কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ৬ শত একর এই বাগানে শ্রমিক আছে ৫শত জন, ফলন না আসলেও তাদের বেতন দিতে হচ্ছে ফলে  ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে দ্বিগুণ। চা বাগানে শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন বাবুরা আমাদের পারিশ্রমিক যথাযথ ভাবে দিচ্ছেন। পানির অভাবে গাছ মারা যাচ্ছে, ফলন নেই একদম। বাগানে কিছু নতুন চারা লাগানো হয়েছে সেগুলোতে পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, কৃত্রিম ভাবে এতো বড় বাগানে পানি দেওয়া সম্ভব নয় তাই এখন দোয়া করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাগান পরিদর্শন করে দেখা গেছে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র দাবদাহে চায়ের কুঁড়ি লালচে হয়ে উঠেছে। চায়ের পাতা ঝলসে গেছে। ছেঁটে দেওয়া চা-গাছের ডাল ও চারা গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এবার খরায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে চায়ের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ মে, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here