স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাট জেলাধীন ফকিরহাট উপজেলার সাতশৈয়া গ্রামে পাষন্ড স্বামীর অমানুষিক অত্যাচারে রাশেদা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধু মৃত্যুবরণ করেছে। সে ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাতশৈয়া গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমকে তার স্বামী প্রায় সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও অমানুষিক নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে ও ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালেও তাকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করেছেন প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতনের কারণে রাশেদা বেগম বাড়িতেই মারা যায়। পরে সেটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ ফেলে রেখে সবাই আত্নগোপন করে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।নিহতের মা জোছনা বেওয়া জানান, আমার মেয়ে রাশেদা বেগম সোমবার রাতে আমাকে ফোনে জানায় তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার দিনও সে আমাকে ফোন করে জানায়, আমাকে প্রচন্ড মারধর করা হচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, মা। তোমরা অতিদ্রুত এসে আমাকে নিয়ে যাও। আমি মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগম এর স্বজনগণ এখানে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে আমরা মামলা দায়ের করি।নিহতের খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হলেও সেখানে মৃতের পরিবারের কাউকে পায়নি বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী হাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক আছে। এ দিকে নিহতের বিষয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুদেহের ময়না তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। উল্লেখ্য যে, নিহত রাশেদা বেগমের জন্মস্থান দিনাজপুর জেলাধীন চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের চম্পাতলী বাজার সংলগ্ন জান্দিপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত্যু আব্দুল কাদের।
আলোকিত প্রতিদিন / ১৯ মে,২০২১/ দ ম দ