ধামরাইয়ে পুলিশ চেকপোষ্টে অপহরণকারী আটক

0
333
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাইয়ে এক স্কুলছাত্রী অপহরণ করে প্রাইভেটকারযোগে পালানোকালে পুলিশ চেকপোষ্টে সহযোগীসহ আটক হয়েছে মূল অপহরণকারী। বুধবার দিনগত রাতে এ আটকের ঘটনাটি ঘটেছে কালামপুর-কাওয়ারীপাড়া-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া এলাকায়। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় অপহরণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধি রেকর্ডের জন্য ওই ভিকটিমকে ঢাকাস্থ ধামরাই জুঢিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট কোর্ট ও শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধামরাই থানা পুলিশি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাঁচলক্ষি গ্রামের বাসিন্দা মো: আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় আমতা হরলাল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তার রাত অনুমান ২টার দিকে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরের পেছনে পূর্ব তেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাশের আমতা ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামের বাসিন্দা মো: ফজলুল হকের বখাটে ছেলে শরীফুল ইসলাম শরীফ তার সঙ্গীয়দের সহায়তায় ওই স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে। তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। অপহরণকারিরা একটি প্রাইভেটকারযোগে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারটি কালামপুর-কাওয়ালীপাড়া-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া নামক স্থানে পুলিশ চেকপোষ্টে পৌঁছলে পুলিশের হাতে আটক হয় ওই অপহরণকারিরা। এসময় ডিউটিরত ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলাম তাদেরকে আটক করেন। আটককৃতরা হল,অপহরণকারিদের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম শরীফ,সহযোগী গুমগ্রাম খেলাবাড়ী এলাকার মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে মো: রনি মিয়া,চৌহাট চড়পাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মো: সাকিব হোসেন। পরে তাদেরকে ধামরাই থানায় নেয়া হয়। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই অপহরণকারিদের বিরুদ্ধে। অপহৃত ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধি রেকর্ডের জন্য ওই ভিকমিকে আদালত ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরিশের হাতে আটক  ওই অপহরণকারিদেরও আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া পুলিশ চেকপোষ্টে নাইট উিউটি করাকালে অপহরণকারীদের বহনকৃত ওই প্রাইভেটকারটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে প্রাইভেটকারটি থামাই। এরপর প্রাইভেটকারটির গ্লাস নামাতেই মুখবাঁধাবস্থাায় এক কিশোরীকে দেখতে পাই। এতে আরও সন্দেহের মাত্রা বেড়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ওরা জানায়, মেয়েটি মানসিক রোগী তাই তাকে মুখ বেঁধে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা অপহরণের কথা স্বীকার করলে তাদেরকে থানায় আনা হয়। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধির জন্য ভিকটিমকে হাসাপাল ও আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে অপহরণকারীদেরও আদালতে চালান করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন / ২১ মে, ২০২১/ দ ম দ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here