প্রতিনিধি, রুমা (বান্দরবান):
রাষ্ট্রের জন্য সত্য উদঘাটনের প্রচেষ্টা কখনও চুরি হতে পারে না । সত্য ও তথ্য জানার অধিকার স্বাধীন দেশের মানুষের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে, পুলিশের সোর্স এবং সাংবাদিকের সোর্স- এ দুটোই বিচারিক সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন রুমা সিনিয়র সাংবাদিক শৈহ্লাচিং মার্মা। পুলিশ, গোয়েন্দা কিংবা সাংবাদিকের সোর্সই তাদের তদন্ত ও অনুসন্ধানের প্রধান উৎস বলে জানিয়েছেন। ২০মে বৃহস্পতিবার, ১৮মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা নেতৃত্বে প্রথম আলো সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করার প্রতিবাদে রুমা হরি মন্দির সংলগ্নের রুমা কর্মরত সাংবাদিক কর্তৃক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন রুমা উপজেলা সিনিয়র সাংবাদিক শৈহ্লাচিং মার্মা (প্রেসক্লাব সভাপতি) । সঞ্চালনা করেন লোঙা খুমি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সংবাদ কর্মী । আরো উপস্থিত আছেন রুমা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চনুমং মার্মা, মংহাইথুই মার্মা সহ অংবাসিং মার্মা প্রমুখ। বক্তারা বলেন নথি সংগ্রহ যেটা স্বাভাবিকভাবেই গোপনেই সংগ্রহ করতে হয় গণমাধ্যম কর্মীদের । এটাই সত্য অনুসন্ধানের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতি। তাই অনুসন্ধানী সাংবাদিক যখন সরকারী প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে অবরুদ্ধ, হয়রানি ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চুরির অভিযোগে জেলে যান, ৬ ঘন্টা সরকারী কাষ্টাডিতে থাকা যোগাযোগবিহীন আটককৃতের কাছে চুরির আলামত উদ্ধারের কাহিনী মাত্রই । দেশে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো, তখন সাংবাদিক নেতারা বলেছিলেন, ‘সরকার আশ্বস্ত করেছে এটা সাংবাদিকদের উপর প্রয়োগ করা হবে না ! অথচ বাস্তবে এটা সাংবাদিকদের উপরই বেশী প্রয়োগ করা হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রে কেন ঔপনিবেশিক যুগের সরকারী গোপনীয়তার আইন থাকবে? কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সত্যের মুখ চেপে ধরবে? তারা চেয়েছিল মাহমুদুর রহমান, ব্যারিস্টার মঈনুল কিংবা আবুল আসাদরা এই ফাঁদে পড়ুক। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল ঔপনিবেশিক যুগের নিবর্তনমূলক আইন কেবলই রাজার ইচ্ছাতেই চলে। সেখানে দলদাস চাটুকাররা শুধুই গুণকীর্তনকারী পেটপুজারী। আর এদের বিপরীতে রোজিনা ইসলামরাই সত্যের অনুসন্ধানী নির্যাতিতা প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মী। রোজিনার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো যেমন এদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। ঠিক তেমনি রোজিনার উপর রাষ্ট্রীয় জুলুম নির্যাতনও ইতিহাসের অংশ হয়ে চিরদিন থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন / ২১ মে, ২০২১/ দ ম দ