প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রাত আটটা থেকে লাগানো হচ্ছে মেডিকেল এয়ার (অক্সিজেনের লাইন)। এসময় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত শিশুদের ৫/৭জনকে বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। আবার কয়েকজনকে ওই রুমের মধ্যে রাখা হয়েছে। এতে করে চরম আতংকে রয়েছে ভর্তিকৃত শিশুদের বাবা-মা। রোববার রাত নয়টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরম উপেক্ষা করে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় নয়ন নামের এক ব্যক্তি সেলাইন হাতে নিয়ে হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর তার স্ত্রীর কোলে ১০ দিনের শিশু সন্তান। এসময় তিনি জানান, তার সন্তানের বয়স ১০ দিন। যে ওয়ার্ডে তার স্ত্রী-সন্তান ভর্তি রয়েছেন সেই রুমের ভেতর অক্সিজেনের লাইন (মেডিকেল এয়ার) লাগানো হচ্ছে। তাই তাদের বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। এতে করে তার সন্তান ও স্ত্রীর চরম অসুবিধা হচ্ছে। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ফরমান নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি জানান, তার সন্তানের বয়স ১৫ দিন। তার স্ত্রী ও সন্তানকেও বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। এ কারনে তীব্র গরম সহ্য করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে কখন এই অক্সিজেনের লাইন লাগানো শেষ হবে তা তিনি বলতে পারছেন না। এছাড়া ভেতরে ওয়াল্ডিং-এর গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ওয়ার্ডের ভেতরে থাকা ১২ বছরের এক শিশু পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন রোববার বিকেলে। তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে ভর্তির পরপরই। কিন্তু তার পাশেই লাগানো হচ্ছে অক্সিজেনের লাইন। এতে করে একদিকে ওয়াল্ডিং-এর তীব্র গন্ধ অন্যদিকে দেয়ালের ময়লা চোখে যাচ্ছে। ফলে চরম অসুবিধা হচ্ছে বলে শিশুটির বাবা সোলায়মান হাসান জানান। বিশেষজ্ঞদের মতে শিশু ওয়ার্ডে এভাবে ওয়াল্ডিং করার সময় এটির গন্ধে শিশুর চরম অসুবিধা হতে পারে। সেখানকার বাতাস দূষিত হওয়া শিশুর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এতে করে শিশুর জীবনের ঝূঁকি বেড়ে যায়। এ বিষয়ে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচএম ট্রেডার্সের সুপারভাইজার তুহিন মিয়া জানান, তিনি শুধু উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কথামত কাজ করছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, এখনতো শিশু ওয়ার্ডে কাজ করার কথা নয়। এটি সকালে করার কথা।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৪ মে, ২০২১/ দ ম দ