জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করেই লক্ষ টাকা হারালেন ভুক্তভোগী

0
381

প্রতিনিধি, চট্রগ্রাম:
চট্টগ্রামে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে বায়েজিদ থানায় অভিযোগ করেন ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডস্থ পূর্ব কুলগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইসহাক। এই অভিযোগ দায়ের করাই যেন কাল হয়ে পড়েছে ইসহাকের। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অজুহাতে মিমাংসা করার নামে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন জনৈক খালেক।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ৭/১২/২০২০ তারিখে বায়েজিদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইসহাক। সেই অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সালিসি বৈঠক করেন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে নিরপেক্ষ মুন্সী দ্বারা জরিপ পূর্বক জমির প্রকৃত মালিকের নিকট জমি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের উস্কানিতে একাধিকবার মুন্সী দ্বারা জরিপ করা হলেও কোন প্রকার সমাধান হয়নি। এই সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে সামাজিক বৈঠক ও মুন্সী দ্বারা জরিপ করার নাম করে দফায় দফায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী। জনৈক খালেক, মহল্লার সদ্দার এবং এলাকার কয়েকজন মিলে বারবার বৈঠক করার নাম করে প্রতিটি বৈঠকে খরচ হিসেবে ৫ হাজার টাকা দাবি পূর্বক আদায় করেন।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী খালেকের কাছে চুড়ান্ত সমাধানের বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে খালেক দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের নাম ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। যা ভুক্তভোগী দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নানান উপায়ে হয়রানি করেন। এছাড়াও খালেক ভুক্তভোগী ইসহাককে টাকা দিয়ে কাজটা ঠিক করে নিতে জোর দেন। অন্যথায় ঝামেলা হতে পারে বলে ভীতি প্রদর্শন করেন। এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বলেন, পুলিশের নাম ব্যবহার করে কেউ কোন প্রকার অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কেননা পুলিশ কোন প্রকার দালাল লালন পালন করে না। ভুক্তভোগী ইসহাক বলেন, খালেক গংদের প্ররোচনায় হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী আবদুল মান্নানের দ্বিতীয় স্ত্রী ইসহাক এবং তার নাবালক ছেলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ইসহাক আরও বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পূর্ণ আস্থা আছে বলে আশা করছি আইনগত ভাবেই সমস্যার সমাধান হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৮ মে-২১/এসএএইচ

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here