মাদকের করালগ্রাসের বর্তমান অবস্থা

0
1261

নিজস্ব প্রতিনিধি:
একদিন নিশ্চুপ হয়ে যাবে সমাজ থেকে মাদকের বিরুদ্ধের প্রতিটি প্রতিবাদী কন্ঠ। মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ করলে সব জেনেও দেখেও যখন আইন মাদকাসক্তদের মিথ্যাকে প্রাধান্য দিয়ে অধিষ্টিত করে সমাজে, তখন বাকরুদ্ধ হয়ে দূরে সরিয়ে রাখে নিজেকে সমাজ সেবকগণ। অবক্ষিত মাদকের অভয়ারণ্যকে প্রতিবাদ করা থেকে। এ সমাজকে মাদকের কড়াল আঘাত থেকে বাঁচাতে চেয়ে যারা প্রতিবাদ করে তারাই প্রকৃত ভাল মানুষ, সমাজ সেবক ও দেশ দরদী। যখন মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীকে প্রতিবাদ ও রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিহত করে সমাজের সচেতন মহল তখন যদি আইন সহযোগিতা না করে প্রতিবাদি কন্ঠ কে অপরাধীর মত অপমানিত করে। তখনই সমাজ থেকে বিলপ্ত হতে থাকে সমাজ সেবক আর মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠের মানুষ । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়, সোনার মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠা যে সমাজ। সেই সমাজকে মাদকসেবী আর জুয়াড়ীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর স্বপ্ন দ্রষ্টার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ ক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সুযোগ্য ও গর্বিত আমাদের এই পাবনা জেলা পুলিশ সুপার। । দুর্নীতি আর মিথ্যার কসাই খানায় যখন জবাই করা হয় প্রতিবাদী কন্ঠের সত্যকে। ঠিক তখনই ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এলাকা ভিত্তিক এ সমাজ, এ দেশ এ জাতি । জানা যায় মো: হায়াতুল্লাহ মল্লিক, পিতা মো: ছোহরাব আলী মল্লিক, গ্রাম: শংকরপুর, মালিগাছা, পাবনা সদর, পাবনা, সে একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী এবং বাহারাইন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাহারাইনস্ত পাবনা সোস্যাইটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্টানেরও সভাপতি। সে দীর্ঘ কাল যাবৎ বাহারাইনে ব্যবসার সুবাদে বসবাস করে আসছেন। বাংলাদেশে থাকা কালীন ছাত্র অবস্থায় সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শের রাজনীতির সাথে স্বক্রিয় ভাবে জড়িত থেকে পাবনা সদর থানা যুব লীগ সদস্য শেষে সদর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ছিলেন। তারপর প্রবাসে ব্যবসা বানিজ্য করেও সেখানেও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আদর্শ্যের কথা ভুলতে না পারায় সেখানেও সর্ব সম্মতি ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপ্রতি আজও আছেন। মাতৃভুমির টানে দেশের মানুষের ভালবাসায় শিক্ত হয়ে গরিবা অসহায় মানুষের পাশে বট বৃক্ষের মত ছায়া হয়ে স্বাধ্য মত সেবা করে আসছেন নিজ এলাকা মালিগাছা ইউনিয়নে সহ আশ পাশের এলাকায়। তার নিজ গ্রাম শংকরপুর মাঠে গড়ে তুলেছেন বিশাল মৎস্য ও ডেইরী প্রজেক্ট। এ সব প্রজেক্ট দেখ ভাল করেন তার বেতন ভুক্ত কর্মচারীরা। বছর খানেক আগে থেকেই সে কর্মরত কর্মচারিদের মুখে জানতে পারেন প্রজেক্টের মাধ্যে পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু মাদকাসক্ত ছেলে েিন্ষধ করা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর থেকে গাজার আসর বসিয়ে গাজা খায়। বেশ কয়েক বার বারণ করেছে মাদক সেবক সাগরকে সেখান গিয়ে গাজা না খেতে। তবুও যায় জোর করে। গত ১৯-০৫-২০২১ তারিখ রোজ বুধবারও প্রতিদিনের মত রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার দলবল নিয়ে যেখানে জোর করে ঢুকে গাজর আসর বসায়। যার বাস্তব ভিডিও সংগ্রহে আছে। প্রজেক্টে কর্মরত কর্মচারি মোবাইল ফোনে হায়াতুল্লাহ মল্লিকের বড় ছেলে মো: সাজ্জাদ হোসেন জনিকে জানালে, জনি সেখানে গিয়ে নিষেধ করলে জনির উপরই চড়াও হয়ে উঠে মাদকাষক্ত মাতালে দল। এক পর্যায়ে সকলে চলে গেলেও মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবক সাগর হোসেন রুখে দাঁড়ায় জনিকে মারতে। তখন উভয়ের মধ্যেই ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মাদকাসক্ত সাগরকে ধরে পুলিশকে সংবাদ দিয়ে প্রজেক্ট থেকে সাগরকে গ্রামের মধ্যে আনার সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম রুপপুরের কিছু বিএনপি’র স্বেচ্ছা সেবক দলের নেতা কর্মীরা জোর করে সাগরকে ছিনিয়ে নেয়। সাগর নিজেও পাবনা সদর থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য এবং গ্রামেই তার বাড়ীর সাথে একটি ছোট দোকান যেখানে সে নাম মাত্র দোকান ঠিকানা করে বসে থেকে গাজার পুরে বিক্রি করে । অথচ এই ঘটনার একদিন পর তারাই সমাজ সেবক হায়াতুল্লাহর বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন জনির নামে থানায় এক লাখ টাকা ছিনতায়ের অভিযোগ দিয়েছে। অথচ গাজা খাওয়ার স্বচিত্র ভিডিও যা পুলিশ সদস্যরা দেখেছেন। সাজ্জাদ হোসেন জনি সাড়া রমজান মাস জুড়ে টেবুনিয়া, মালিগাছা, গাছপাড়া সহ মালিগাছা ইউনিয়নের প্রতান্ত অঞ্চলেও ইফতার বিলি করছে কয়েক লাখ টাকার। এই সব মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের মিথ্যা অভিযোগে যদি সত্য বিলীন হয়ে যায় তাহলে কোন ভাবেই সফল হবে না জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের পাবনা জেলাকে মাদমুক্ত করার অভিযান। অপরাধী বিচার হোক মিথ্যার কষাই খানায় আর যেন সত্যের বলি না দেয়া হয় আইনের কাছে সবিনয় অনুরোধ।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ মে, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here