সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে মরে গেছে অসংখ্য গাছ। সাতক্ষীরা সদরের বৈকারি সড়ক, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি-বাঁকা সড়ক, তালা উপজেলার ইসলামকাটি সড়ক, পাটকেলঘাটার কুমিরা-তালা সড়ক, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মরে গেছে হাজার হাজার গাছ। মরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা। যাত্রীরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গাছগুলো মাসের পর মাস এভাবে রয়েছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গাছগুলো অপসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গাছগুলো দাম বাজার ছাড়া বেশি হওয়ায় তা কিনতে আগ্রহী নন ব্যবসায়ীরা। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, গাছ বিক্রয়ের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ৩১ মে বিকালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরপত্র দাতাদের সামনে দরপত্রের সিডিউল খোলা হয়। এ দরপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব, জেলা পরিষদের সদস্য মো: আল-ফেরদাউস আলফা, মনিরুল ইসলাম, মাহফুজা পারভীন রুবি, মো: মতিয়ার রহমান প্রমুখ। সূত্র জানায়, ১১টি প্যাকেজের মধ্যে ৩টির বিপরীতে ৬টি সিডিউল ড্র হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন- পাটকেলঘাটা ডাক বাংলো’র আবুল হাশেম, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সামনে রক্ষিত প্যাকেজ নং-১ এই প্যাকেজে সর্বোচ্চ দরদাতা ফরহাদ হোসেন হীরা, দেবহাটা ডাক বাংলো’র ৭নং প্যাকেজে সর্বোচ্চ দরদাতা ফরহাদ হোসেন হীরা। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় জেলা বনবিভাগ থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল সেই কাঙ্ক্ষিত দরে ক্রয় করতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী নয়। কারণ গাছগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা ক্রয় করতে রাজি হয়নি। এরমধ্যে তিনজন সর্বোচ্চ দরদাতাকে ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা জমা দিয়ে মালামাল বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুন, ২০২১/ দ ম দ

