প্রতিনিধি, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) :
বগুড়ার সারিয়াকান্দির বেহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের মাঝিরাচরের ১০ বছর আগে স্বামী পরিত্যাক্তা নারী চায়না বেগম(৪২) কে মার্তৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও ইউনিয়নে মধ্যবয়সী নারী মিনতি বেগম (৪৫) নামে নারীকে মার্তৃত্বকালীন ভাতাকার্ড করে দেওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। চায়না বেগম একই সংগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এর ভাতিজা আলমগীরের স্ত্রী বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার কড়িতলা বাজারে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় ওই দুইজন ভাতার টাকা তুলতে এলে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জনতার তোপের মুখে পড়েন। গত সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বোহাইল ইউনিয়নের চর মাঝিরা গ্রামের চায়না বেগম দশ বছর পূর্বে একই চর গ্রামের ইমদাদুল হকের সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। সে থেকে চায়না একাই বাবা মোজা প্রাং এর বাড়িতে বসবাস করেন। তবে গত ছয় মাস পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার নামে একটি মাতৃত্ব কালিন ভাতাকার্ড করে দেওয়া হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নের বেহাইল চরের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মিনতি বেগম কে গর্ভবতী না হলেও মার্তৃৃত্বকালীন ভাতাকার্ড করে দেওয়া হয়েছে। তার সর্বশেষ ছেলে সন্তানের বয়স প্রায় ১২ বছর। এই মিনতি বেগম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এর বড়ভাই সাহাদাত হেসেন (সাদা) ছেলে আলমগীর এর স্ত্রী। এলাকায় অনেক গর্ভবতী নারী থাকলেও তাদের কে বঞ্চিত করে অজ্ঞ্যাত কারনে তাদের নামে গর্ভবতী ভাতাকার্ড করে দেওয়া হয়েছে। বোহাইল ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা বেগম,সাহিদা বেগম ও নাছিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে পরিষদের সমন্বয় সভা করে চর এলাকার ৬০ জন গর্ভবতীর নামে ভাতাকার্ড করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ স্বামী পরিত্যাক্তা ও নিজের ভাতিজা বৌ কে ভাতাকার্ড করে দেওয়ায় আমরা খুবই লজ্জিত।চরের প্রকৃত গর্ভবতী নারীদের নাম বাদ দিয়ে তাদের নাম দেওয়ায় আমরা এর সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১ নং ওয়ার্ড সদস্য বাদশা আকন্দ ও ২ নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন,আমাদের ও মহিলা সদস্যদের ২টি করে গর্ভবতী নারির নাম দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান কারই কথা রাখেননি। তিনি মনগড়া ভাবে গর্ভবতী মহিলাদের নামের তালিকা তৈরি করেছেন। এব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমি সবার মতামত নিয়ে তালিকা করেছি। যাদের নামের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ আমার ভাতিজা বৌ মিনতি বেগম ও স্বামী পরিত্যাক্তা চায়না বেগম এর নাম আমার অজান্তে তালিকায় উঠেছে। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: রাসেল মিয়া বলেন, এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে এবং ঘটনার সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুন, ২০২১/ দ ম দ