প্রতিনিধি, নীলফামারী:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৯ ইউনিয়নে উৎপাদিত সূর্যমুখী ফসল বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। উপযুক্ত ক্রেতার অভাবে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে,উপজেলার ৯ ইউনিয়নে কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শে প্রথমবারের মত এ উপজেলায় প্রায় তিন শতাধিক কৃষক ৪৬ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ করে। সঠিক নজরদারি এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন ও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু সুর্যমুখীর সঠিক ব্যবহার না জানা এবং ফুলের বীজের ক্রেতা না থাকার কারণে কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাড়িতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনবিঘা জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ করেছিলাম। তিনবিঘা জমিতে আমার ১০ মন সুর্যমুখীর বীজ হয়েছে। কৃষি অফিস বলেছিল সুর্যমুখী চাষের পর তারা বিক্রির সব ব্যবস্থা করে দিবেন। কিন্তু এখন তারা বিক্রির ব্যবস্থা তো দূরে থাক সুর্যমুখী চাষিদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেনা। তাই কৃষকরা সুর্যমুখীর বীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সাথে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রির জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে একটা ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা সুর্যমুখী চাষীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজ বিক্রির চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, যেহেতু কিশোরগঞ্জে এবার প্রথম তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ সমস্যা আর থাকবেনা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ জুন, ২০২১/ দ ম দ