প্রতিনিধি,হবিগঞ্জ: মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন। যা বাংলাদেশে ডুমুর হিসেবেই বেশি পরিচিত। দেখতে আকর্ষণীয়, রসে ভরপুর এই ফলকে সৌদি আরবে ত্বীন নামে ডাকলেও ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এটি আঞ্জির নামে পরিচিত। আঁটি ও বিচিহীন দৃষ্টিনন্দন ফলটি আবরণ সহকারেই খাওয়া যায়। দেশের বাজারে এই ফল ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল এই ফল দেশের বিভিন্ন স্থানে বানিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মাধবপুর উপজেলার শাহপুর এলাকায় মিসির আলি নামের এক কৃষক শুরু করেছেন ত্বীন ফলের চাষাবাদ। জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে মিসির আলী’র আরব আমিরাত প্রবাসী ছােট ভাই ১শ ২০ টি ত্বীন ফলের চারা নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে প্রায় ৩৬ শতাংশ জমিতে চারা গুলাে রােপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন মিসির আলী। রােপনের ৩ মাসের মাথায় ফল ধরা শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ২-৩ কেজি করে ফল আছে।
মাধবপুরে ত্বীন বাগানের মিসির আলী এ বিষয়ে জানান, বর্তমানে তার বাগানে ১১০ টি গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই ৫০-১০০ টি ফল ধরেছে। কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়ােজনীয় পরামর্শ ও সহযােগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে করতে চান ত্বীন ফলের চাষাবাদ। | তিনি আরও জানান, যে কেউ চাইলে তার কাছ থেকে টাটকা ফল সংগ্রহ করতে পারবেন। এমনকি চারাও বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে তার। একই বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে একটা হলাে ডুমুর। আমরা এই ধরনের ফল চাষে সবসময় কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করি এবং তাকে সাধুবাদ জানাই। তার এই ফল চাষাবাদ সম্প্রসারণের জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবাে। এছাড়াও আমরা চারা বিতরণ কার্যক্রমে তার কাছ থেকে চারা কিনে বিতরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবাে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ জুন, ২০২১/