নদী পথে সারা বছর নৌকা চলাচলসহ তীর সংরক্ষণ করা হবে

0
286

প্রতিনিধি, সারিয়াকান্দি (বগুড়া):
দেশের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী নদীকে খনন করে পণ্য পরিবহণের জন্য নৌ-চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। এছাড়াও নদীটির উভয় তীর কন্সট্রাকশন দ্বারা সংরক্ষণ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভিন্ন ২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এককালেরর প্রমত্তা বাঙ্গালী নদী গভীরতা থাকায় সারা বছরজুড়ে নদীতে নৌকা চলাচল করতো। উত্তরের জেলার সাথে পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি যাত্রী সাধারণ চলাচল করতো অনাসায়ে। দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে এই নদী পথের গুরুত্ব ছিলো অপরীসিম। কিন্তু উযান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির সাথে বালি ও পলিমাটি ভেসে আসায় নদীর তলদেশ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে এই নদী পথ দিয়ে পণ্য পরিবহণের জন্য নৌকা চলাচল তো দূরে কথা নদীর তলদেশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। অন্যদিকে বছরের বেশিভাগ সময় জুড়ে নদীটির নাব্যতা হারিরে যাওয়ার কারনে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে পরলেও বর্ষার মৌসুমে সামান্য পারিমাণ পানিতেই নদীটি ভরে উঠে উভয় কূল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দেয়। এ বন্যার পানিতে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো অধিবাসীরা বন্যার পানিতে নিমজ্জ্বিত হয়ে পড়ে। এছাড়াও হাজার হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলাদী পানিতে তলিয়ে যায়। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে গাইবান্ধা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হওয়ার ঘটনা প্রতি বছরের। কিন্তু বর্তমান সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনায় বাঙ্গালী নদী ওইসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নদীটির দুই তীর সিসি ব্লক দ্বারা সংরক্ষণ করা হবে। এ কাজ বাস্তবায়িত করা হলে বাঙ্গালী নদীর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে গাইবান্ধার কাটাখালী পর্যন্ত ২১৭ কিলোমিটার নদী ভাঙ্গন শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব হবে। বগুড়ার সারিয়াকান্দির পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) আব্দুর রহমান তাসকিয়া আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এরই মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং তা ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, চলমান করোনা ভাইরাস সৃষ্ট সংকটে বর্তমানে মন্তরগতি হওয়ার কারনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সময় বৃদ্ধি করা হতে পারে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) আব্দুর রহমান তাসকিয়া আরো বলেন, একই সাথে নদীটির গভীরতা বৃদ্ধি করার জন্য খনন করে দেওয়া হবে। যাতে করে সারা বছর নদী পথে সকল রকমে নৌ-যান স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে। সরকারের একটি বিশেষ বাহিনী এই খনন কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন বলে তিনি জানান। এরই মধ্যে বাহিনীটি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী অংশে খনন কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বাঙ্গালী নদীর খনন ও দুই তীর সংরক্ষণ বাবদ প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য ২ হাজার ৩’শ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here