টাঙ্গাইলে ৩০মণ ওজনের গরু বিক্রি নিয়ে শষ্কায় খামারি

0
2199

সবুজ সরকার, টাঙ্গাইল:
কালোমানিক। একটি সখের গরুর নাম। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে কেমন গরু হবে। গরুটির ওজন ৩০ মণ। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আনেহলা ইউনিয়নের কোরবানী ঈদ উপলক্ষে সখ করে নিজ বাড়িতে গরুটি লালন-পালন করছেন মো. চান মিয়া। তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন সাড়ে ৮ লাখ টাকা। এ গরুর বয়স ৪ বছর। গরুটি লম্বায় ৯ ফুট ৬ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৩০ মণ। খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত সিন্ধি জাতের ষাঁড়টি দাম কিছু কম হলেও তিনি বাড়িতেই বিক্রি করতে চান। শখ করে পালন করা এই ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকাসহ দূরদূরান্তের উৎসুক লোকজন। তার পরিবারের কোন লোক না থাকায় ও করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে তিনি হাটে তুলতে চান না গরুটি। বর্তমানে গরুটি উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রামের মালিক চান মিয়ার বাড়িতেই রয়েছে। তবে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যোগাযোগের নম্বরও দিয়েছেন। সেখানে তিনি দামও উল্লেখ করেছেন। চার দাঁতের গরুটির বয়স চার বছর। প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারাও গরুটির স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারের উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন মো.বাহাউদ্দিন সারোয়ার রেজভী বলেন, মো.চান মিয়া তার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করা হচ্ছে। উপজেলায় আরো বড় গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে তার মধ্যে এই ষাঁড়টিই অন্যতম। সব থেকে বড় বলেও তিনি জানান। মো.চান মিয়া বলেন, ‘ষাঁড় টি জন্মের পর থেকেই আমি লালন পালন করছি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছি। গরুটিকে মোটাতাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কোনো কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অনুমোদিত মেশিনে তৈরি খাবার ও বিজ্ঞানসম্মত সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়েছে। প্রতিটি গরুকে দেশীয় খাবার যেমন: মাল্টা, পেয়ারা, ছোলার ভূষি, মসুরির ভূষি, ভুট্টার গুঁড়া, গমের গুঁড়া, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়িয়ে বড় করা হয়েছে। এছাড়াও তার কাছে ছোট-বড় আরও তিনটি গাভী গরু রয়েছে বলে জানান চান মিয়া।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here