মুক্তারপুর টু ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

0
262

প্রতিনিধি, গজারিয়া:
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর ফরাতন ফেরিঘাট হতে ফিরিঙ্গবাজার পর্যন্ত সড়কাটির বেহাল দশার কারনে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর তীর ঘেষা এই সড়কটি দিয়ে পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এবং মিরকাদিম পৌরসভায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারনে গেলো বর্ষার সড়কটিতে ব্যাপক খানাখন্দ আর ভাঙ্গন দেখা দেয়। পরে স্থানীয়রা ইটের খোয়া ফেলে এবং সড়কের পাশ দিয়ে বাঁশ পুঁতে কিছুটা যান চলাচলের উপযোগী করে তোলায় শুকনো মৌসুমে যানবাহন চলাচল করেছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রাস্তা কেটে বালুর পাইপ বসানো, রাস্তার উপর ড্রেজার দিয়ে বালু লোড আনলোড করা এবং ভরী যানবাহন চলার কারনে রাস্তাটি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমানে অতিবৃষ্টির কারনে সড়কটির প্রায় অর্ধেক অংশ নদীর দিকে ভেংগে গেছে। পুরো সড়কটি জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক খানাখন্দ এবং বড় বড় গর্ত। সড়কে জমে থাকা পানির তোড়ে সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে ছোট হয়ে আসছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা প্রক্শা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, বাঁধের উপর একাধিক বালু বিক্রির গদি থাকার কারনে সড়কটিতে নিয়মিত চলছে বালুবাহী ট্রাক ও ট্রলি। এছাড়াও নদীতে থাকা বাল্গহেট থেকে গদিতে নিয়মিত বালু উত্তোলনের সময় প্রচুর পরিমান পানি সড়ক দিয়ে নদীতে নেমে যাচ্ছে। ফলে পানির প্রবাহে সড়কটি ভেংগে যাচ্ছে এবং সড়কের পাশে নদীঘেষা সড়করক্ষা বাঁধের ব্লকগুলোও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের ভিতরে পানি প্রবেশ করে কুপের মতো সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায় যাতায়াতকারী পরিবহনগুলো পড়ছেন বেশ বিপাকে। সাধারন যাত্রীদেরও ভোগান্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ে সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মুক্তাপুর পুরাতন ফেরিঘাটের সামনে থেকে রাস্তাটির খানাখন্দ শুরু। সেখান থেকে মালির পাথর পর্যন্ত সড়কটিতে ব্যাপক খানাখন্দ। রয়েছে রাস্তার নদীর পাশ দিয়ে ভাঙ্গন আর ধেবে যাওয়ার চিহ্ন। বিভিন্ন স্থানে বাঁশ পুঁতে মাটি ফেলেও সড়কটি রক্ষা করা যাচ্ছেনা। শাহ আলী রাইস মিল থেকে পশ্চিম দিকে ফিরিঙ্গবাজার স্টিমার যেতে আরমানের বালুর গদি পর্যন্ত সড়কটির প্রায় অর্ধেক অংশ ভেংগে গিয়ে নদীতে হেটে পড়েছে। সেখান থেকে ফিরিঙ্গিবাজার স্টিমারঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি যেন চাষকৃত কৃষি জমিতে পরিনত হয়েছে। তাছাড়া বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ তো আছেই। পুরো সড়কটির জুড়ে বৃষ্টির পানি আটকে আছে । তবুও পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে সড়কটি দিয়ে। এতে করে সড়কটি আরো ঝুঁকিপূর্ন হয়ে যাচ্ছে। এলজিইডির সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. মাজেদুল হক সজীব বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য বাজেট পাশ হয়েছে। রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান । টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সড়কটিতে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২১ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here