প্রতিনিধি, মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার সিপাহীপাড়া প্রধান সড়কের ব্রীজটি পুননির্মাণ হবেনা বলেই ধরে নিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। নতুন নির্মাণের আশ্বাসে ভেঙ্গে ফেলা ব্রিজটি আবার কখনো নির্মাণ করা হবে তার স্বপ্ন দেখেন না তারা। তারা ধরে নিয়েছেন এই প্রধান সড়কের উপর আর কোন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে না। তবে মাঝে মধ্যে বিশেষ করে বর্ষার সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত গতিতে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিতে আসেন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় দীর্ঘ চার বছরের সময় পার হলেও এই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। ২১ জুন দুপুর দুইটায় ব্রিজের পাশে স্থানীয় লোকজন প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে গত ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বানিয়ার দোকান থেকে শিপাহীর পাড়া সড়কের উপর সিপাহী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রীজটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন দ্রুত গতিতে একই বছর ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানান কারণে দীর্ঘ চার বছর সময় ধরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে সিপাহীর পাড়া এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজারের অধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, মানুষ ও হালকা যান চলাচলের জন্য সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক একটি কাঠের ব্রীজ করে দেন। পরে তা ভেঙে গেলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আরও একটি ব্রীজ করে দেন। তারা আরো জানান, তৃতীয়বারের মতো ব্রীজটি ভাঙলে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিঃ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রায়হান, মোহাম্মদ সিদ্দিক সহ এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠের ব্রীজটি মাঝখানে ও দুই পাশে ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে টমটম গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হয় বলে জানা যায়। এদিকে তারপর থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, তিন বছর আগে ব্রীজ এর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। পরে আরও তিনবার টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু মালামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে কেউ টেন্ডার নেয়নি। চতুর্থবারের টেন্ডারে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিল। পরে করোনার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন বর্ষায় পানি জমার কারণে কাজ করতে পারছে না তারা। টানা বৃষ্টি কমলে দ্রুতগতিতে ব্রীজ নির্মাণের কাজ চালু হবে। এদিকে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, “ব্রীজ এর কাজ ঠিক সময়ে সম্পন্ন হয়ে যেত। ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যক্তিগতভাবে দুইবার কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করেছিলাম। যেহেতু আবারো কাঠের ব্রীজটি নষ্ট হয়েছে, তাই দ্রুত সময়ে বিকল্প ব্রীজ করে দিব। আর যথাসম্ভব খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে।”
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০২১/দ ম দ