সেনবাগে দলিল লেখকদের অনৈতিক চাপে অতিষ্ঠ সাব-রেজিস্টার

0
324

প্রতিনিধি, নোয়াখালী:
সেনবাগ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কতিপয় দলিল লেখকের অনৈতিক চাপ,হুমকি,অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হেনস্তার শিকার নারী সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহের।গত ১৪ ও ১৫ জুনের ঘটনা উল্লেখ করে সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহের জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেকের কাছে একটি অভিযোগ দেন।অভিযোগ থেকে জানা যায়,গত ১৪ ও১৫ জুন দুইদিন দুজন দলিল লেখক আলী হোসেন রতন ও কাজী হুমায়নের লিখিত অসম্পূর্ণ রেজিস্ট্রি আইন বিরুদী দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।এ সকল দলিলে কিছু সংযোজন ও জমির খারিজ খতিয়ান নিয়ে আসতে বলায় ক্ষিপ্ত হন দলিল লেখকদ্বয়।তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের নাম নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে নারী সাব- রেজিস্ট্রারকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায় করে নেন।এই সময় উক্ত দলিল লেখকদ্বয় সমিতির সভাপতি সম্পাদকের সামনে অশালীন আচরণ করতে থাকেন এবং বারবার শারীরিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যে তেড়েফুঁড়ে যান।কিন্তু উপস্থিত অফিস করণিক ও সহায়কের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এরপর থেকে ঐ নারী সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহেরকে তীব্র মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,চলতি বছরের মার্চ মাসে কবিরহাট উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সেনবাগ উপজেলায় দুদিন অফিস করেন।এদিকে সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহেরের অবৈধ মাত্রাতিরিক্ত ঘুস বাণিজ্য বন্ধ ও দুই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে আনীত সকল মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেনবাগ দলিল লেখক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কলম বিরতি পালন করবে বলে এক সভায় হুশিয়ার উচ্চারণ করেন। সমিতির সভাপতি তালেবুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক বাহাদুর, সাবেক সভাপতি নোয়াব মিয়া,সদস্য আলী হোসেন রতন,ও কাজী হুমায়ন প্রমুখ।উল্লেখ্য তানিয়া তাহেরের বিভিন্ন দূর্নীতি অনিয়ম উল্লেখ করে গত ১৬ ই জুন আইনমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন)সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দলিল লেখক কাজী হুমায়ন ও আলী হোসেন রতন অভিযোগ দিয়েছেন।দলিল লেখক সমিতির কলম বিরতি ও নানা অভিযোগের বিষয়ে সাব- রেজিস্ট্রার তানিয়া তাহের কিছুই জানেন না বলে জানান। এদিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত সেনবাগ উপজেলার রেজিস্ট্রি অফিস।দলিল লেখকদের কর্মবিরতিতে সাধারণ মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে।দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক জানান,উভয় অভিযোগের বিষয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।তদন্তকারী কর্মকর্তা তার কাজ শুরু করেছে।কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিবে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রিপোর্ট হলে আপনারা জানতে পারবেন।সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি লাঘবে আমাদের অফিস খোলা।কেউ আসলে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে বলে যোগ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here