পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। ২৪ জুলাই (বৃহষ্পতিবার) ভোর রাতে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মর্জিনা আক্তার (২০) নতুন ঘোনা এলাকার দিদারুল ইসলামের স্ত্রী। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোররাতে পেকুয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সকাল ১১ টার দিকে স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। দিদার নতুন ঘোনা এলাকার মানুনুল হকের ছেলে ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হকের ভাতিজা।
নিহতের পিতা আশরাফ আলী বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাশুরবাড়িতে চলে যায় মর্জিনা। তিনদিন আগে মর্জিনা বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাত ১২টার দিকে মেয়ের জামাই দিদার মর্জিনা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে বলে মুঠোফোনে কল করে। উজানটিয়ায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ। গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন। মর্জিনার মা শফিকা বেগম জানায়, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো স্বামী ও শাশুড়ী। মেয়ের সুখের জন্য কয়েকদফা টাকাও দিয়েছি। কয়েক মাস আগে মেয়েকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়ভাবে বৈঠকও হয়েছে অনেকবার। গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বামী ও পনের মাস বয়সী লাবিবকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে গেছে। এ সময় দিদার ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করছে। টাকা না দেয়ায় রাতে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আড়াই বছর আগে দিদারের সাথে বিয়ে হয় রাজাখালী ইউনিয়নের রব্বত আলী পাড়ার আশরাফ আলীর মেয়ে মর্জিনা আক্তারের সাথে। তাদের সংসারে মুহাম্মদ লাবিব নামের দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তান রয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। থানার এসআই আল আমীন নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পিতা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিহতের স্বামী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি
