প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ: ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে শাটডাউনের ঘোষণা আসতে পারে’ এমন খবরে গতকাল শুক্রবার সকালে থেকেই শিমুলিয়া ফেরে ঘটে মানুষের ঢল নামে। বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার সকাল থেকে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুট দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে লোকজন ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে। সড়কে যানবাহনের সংকট থাকায় ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে তারা যাচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে। নৌপথেও নৌযান সংকট দেখা গেছে। লৌহজং ও শ্রীনগরের কয়েকটি স্পট থেকে যাত্রীরা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে এসব ট্রলারে করে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে এখন ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাত্রীদের ঘাটে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ সদরের ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, জেলায় চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। শহরের মধ্যে যানবাহন চলাচলে দেয়া হচ্ছে বাধা। এ ছাড়াও জব্দ করা হয়েছে কিছু অটোরিকশা। বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের লঞ্চ চলাচল।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি