প্রতিনিধি, নড়াইল:
কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় নড়াইলের বাজারগুলোতে বেড়ে গেছে মানুষের ভিড়। এদিকে এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নেই কোনো তদারকির ব্যবস্থা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এরপর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারাদেশে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। তবে এ লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান বন্ধ না খোলা থাকবে- সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও মানুষ অতিরিক্ত পণ্য কিনে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মাছ ও কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের ভিড়ে পা রাখার যায়গা নেই। এদিকে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষ বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলোড়া ইউনিয়নের বাহির গ্রামের মফিজ শেখ বলেন, ‘শুনেছি কঠোর লকডাউন দেয়া হবে। ঘর থেকে একদমই বের হওয়া যাবে না। তাই আগামী ১০ দিনের বাজার করতে এসেছি।’ শহরের পৌর এলাকার কবিতা বলেন, ‘আমার সন্তানরা বাড়িতে থাকে না। তাই কঠোর লকডাউনের সময় বাজার করার কেউ নেই বাড়িতে। তাই বাজারে এসেছি প্রয়োজনীয় বাজার করার জন্য।’ জিনিসপত্রে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মুনসুর মোড়ল বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে পণ্য আনার জন্য যানবাহন পাওয়া যায় না সহজে। ফলে আমাদের অনেক খরচ হয় মালামাল পরিবহনে। এজন্যই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নড়াইলের কাঁচাবাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তাই বাজারে ভিড় থাকতে পারে। তবে বাজারে পণ্যের দাম বেশি নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ