প্রবর্তক সংঘের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে ইসকনের বক্তব্য

0
1043

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রবর্তক সংঘ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। শনিবার (২৬ জুন) ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসকন সম্পর্কে প্রবর্তক সংঘের দেয়া বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ও মন্দিরের সেবা পূজায় আত্মোৎসর্গিকৃত সাধু সন্ন্যাসীদের আশ্রম বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পেরে তারা ইসকনের নিরাীহ সাধুদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস করছেন। ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের বিগ্রহের নির্দিষ্ট ভূমির বাইরে প্রবর্তক সংঘের ভূমি দখল করেনি। বরং সংঘের কতিপয় অর্থলোভী ব্যক্তি একের পর এক সাধুদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ইসকন সংস্থার সদস্যগণ সবসময় দেশের আইন,আদালত, সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পুর্ণ অনুগত এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত অডিট ফার্ম কর্তৃক সমস্ত আর্থিক হিসাব নিকাশ নিয়মিতভাবে নিরীক্ষা করা হয়। মন্দিরের জন্য দানীয় মার্বেল পাথর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহানুভবতায় যেহেতু সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেয়েছে, সেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনাক্রমে চট্টগ্রামের মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মার্বেল পাথরের শতভাগ ব্যবহার হয়েছে মর্মে সত্যায়িত হয়েছে। বর্তমানে ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরটি চট্টগ্রাম তথা সারা বাংলাদেশের সনাতনী সমাজের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার সনাতনী ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দ মন্দিরে এসে পূজা অর্চনা করছে। এসব দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে মন্দিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিনষ্ট করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ইতিমধ্যে মন্দিরের বৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা আশা করব অচিরেই তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং স্বধর্ম ও স্বজাতি ধ্বংসের মত হীন চেষ্টা থেকে নিবৃত্ত হওয়ার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here