রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

0
1096

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্রগ্রাম নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া শান্তুি নগর বগারবিল এলাকায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কাউন্সিলার শহীদ এর দিকনির্দেশনায় পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র ও রড দিয়ে আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ কে এম তারিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসীরা সংঙ্গবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন গত ২৭ শে জুন। অভিযোগ আছে এলাকায় অনেক দিন ধরেই স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে স্থানীয় কাউন্সিলার শহীদ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন এলাকায়। অপকর্ম করতে রেখেছেন ৩টি সন্ত্রাসী বাহিনী। যার ফলে এলাকায় কেউ কখনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খোলার সাহসটুকুও পান না। স্থানীয় কাউন্সিলর শহীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন, দৈনিক আলোর দিগন্ত, দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র, দৈনিক এশিয়া বানীসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায়। আর তাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতায় একাধিকবার হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করছেন বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোটালের প্রতিনিধিদের। ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাকলিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে । বরং থানার পাশে পতিতালয়, ইয়াবা, ও কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিনের কাছে তথ্য জানতে অফিসে গেলে সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের গাল মন্দ করে অপমান করে বের করে দেন ওসি। ঘটনার কয়েকদিন পরেই আবারো হত্যার উদ্দেশ্যে কাউন্সিলার শহীদের দিকনির্দেশনায় একদল সন্ত্রাসী সংঙ্গবদ্ধ ভাবে হামলা করার জন্য তাকে পেছন থেকে তাড়া করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিতেই সন্ত্রাসীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকে শহিদ ভাইয়ের নিদের্শ গুলি চালা। কিন্তু দূভাগ্যবশত দৌড়াতে গিয়ে পেছন থেকে এক সন্ত্রাসীর দোনালা বন্দুকের উল্টা আঘাতে মাটিতে পড়ে যান তারিকুল ইসলাম। এর পর এলোপাথাড়ি ভাবে পেটাতে থাকেন সন্ত্রাসীরা। তারিকুলের চিৎকারের ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিলে সেখানে করোনার কারণে প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করার পরামর্শ দিলে পরবর্তী চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসক বলছেন পা কোন ভাবেই নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে প্রচন্ড আঘাত করায় ফ্যাকচার হয়েছে। এমন অবস্থায় বিশ্রামে থাকতে হবে কমপক্ষে তিন মাস। এ দিকে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূহুল আমিন ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার শহীদের মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here