টেকনাফ প্রতিনিধিঃ টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির–সংলগ্ন স্থানীয় একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত দল গুলি চালায়। এতে তিন ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার হ্নীলার দমদমিয়ার নেচার পার্ক (উত্তর) জাদিমোরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৮ ব্লক–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার-১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক। গুলিবিদ্ধ আহত তিন ভাই হলেন মোহাম্মদ সালামত (২৫), মোহাম্মদ হাসান (১২) ও মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ (২১)। তাঁরা জাদিমোরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৮ ব্লক–সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে। তাঁদের মধ্যে মাথা, হাতের বাহু ও পেটে গুলিবিদ্ধ শিশু হাসান প্রথম আলো ট্রাস্টের পরিচালিত দমদমিয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আলোর পাঠশালার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার সূত্র জানায়, রাতে রোহিঙ্গা ডাকাত জাকির গ্রুপের সদস্য হাসেমুল্লাহ (৩০), নুরু (৩৫), আবদুর রহমান বেজি (৩২), আজিমুল্লাহ (২৮) ও আবদুর শুকুর (২০), আবু তাহের কালুসহ ১০-১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালান। এ সময় বাড়ির লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ডাকাতেরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ছররা গুলিতে বিদ্ধ হয়ে তিনজন আহত হন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতেরা গুলিবর্ষণ করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যান। পরে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খান এ আলম বলেন, রাত তিনটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিশু হাসানের মাথা, হাত ও পেটে ছররা গুলি লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করার জন্য এপিবিএন ও থানা-পুলিশ কাজ করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি