বদলে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুরের গ্রামীণ রাস্তা ঘাটের চিত্র

0
367
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তা ঘাট অবকাঠামো উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি ব‍্যবহার করা হচ্ছে।। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা গুলোতে মাটি দিয়ে সংস্কারের পরিবর্তন এনে করা হচ্ছে এইচবিবি করণ,ও সিসি সোলিং। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে বর্ষায় কাদা ও খানাখন্দকে ভরা উঁচু-নিচু রাস্তাসহ দূর হবে পথচারীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি । গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি গ্রাম রুপান্তর হবে শহরে। এবারের কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়নে নিচু এলাকার রাস্তা উঁচু, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে ধারণা নীতিনির্ধাকদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা সফল করেতে নিরলস পরিশ্রম করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার। কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৪২টি রাস্তায় করা হচ্ছে এইচবিবি করণ, সিসি সোলিং ও মাটি ভরাটের কাজ। চলতি অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেলের দেয়া বিশেষ বরাদ্দ কাবিটা প্রকল্পের প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চলছে চলাচলের অনুপযোগী নিচু রাস্তা সংস্কারের কাজ। হাজারো মানুষ চলাচলের অনুপযোগী বেহাল এই রাস্তায় দুই স্তর বিশিষ্ট সারিবদ্ধ ইটের উঁচুতে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো। এমনকি বাড়ছে রাস্তার স্থায়ীত্ব। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের করল্লাবেচা পাড়ার হাজারো মানুষ সবচেয়ে বেশী খুঁশি। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় ছিলো খানাখন্দকে ভরা আর বর্ষা মৌসুম এলেই যেন পানি জমে থাকে হাটু পর্যন্ত। করল্লাবেচা পাড়ার মতিউর, হেলাল, খায়রুল, নুরুজ্জামান সহ আরও অনেকে বলেন,রাস্তার জন‍্য এই গ্রামে ভালো সম্মন্ধ আসতো না।  বর্ষাকালে এক হাটু পানি জমে থাকে এমনকি কাদার জন্য রাস্তা ঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খরা মৌসুমে তো খানাখন্দকে ভরা থাকে চলতে অনেক কষ্ট হয়। এখন এলাকাবাসী অনেক আনন্দিত। এই রাস্তাটা অনেক উঁচু করে ইট দিয়ে দুই স্তর বিশিষ্ট সলিং করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অবহেলিত রাস্তাটি সংস্কার করায় কষ্ট লাঘব হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, গ্রাম হবে শহর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শক্রমে বেশীর ভাগ চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা গুলো করা হচ্ছে সংস্কার। এইচবিবি ও সিসি কারণ কাজ সম্পন্ন হলে অবহেলিত এলাকার মানুষ যাতায়াত, পণ্যপরিবহন, এ‍্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস সহ সড়ক পথে নানান সুবিধা ভোগ করতে পারবে এলাকাবাসী।
নীলফামারী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে আমার পাওয়া বরাদ্দের টিআর কাবিটা প্রকল্পের সিংহ ভাগেই খরচ করা হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন মূলক কাজে। আর এই এইচবিবি ও সিসি সোলিং হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে রাস্তা পাকা করণের ভিত্তি । এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে উৎপাদিত ফসল ভালো দামে বিক্রয় করতে পারবে। পাশাপাশি বাড়বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১লা জুলাই ২০২১/ এম এইচ সি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here