কক্সবাজারে চলছে কঠোর লকডাউন: হার্ডলাইনে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ 

0
292

আবু সায়েম, কক্সবাজার:
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ১ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যমান  থাকবে। কক্সবাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে রয়েছে  ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা। জেলার আট উপজেলায় সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের প্রথম দিনে  জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী,বিজিবি,র‌্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে । এছাড়া জেলা প্রশাসনের ৩৭জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জেলা পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট স্থাপিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদ। তিনি জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজারে ৩৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব।উপকূলীয় ২ উপজেলায় কোস্টগার্ড থাকবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। তখন জরুরি সেবা ছাড়া মানুষ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টি টিম কাজ করছে। সেই সঙ্গে এ কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে । জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে জেলা পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু কর্তৃত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে।

 

শহরের কলাতলী মোড় থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা করোনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমান সহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি‘র উর্ধতন কর্মকর্তারা। এদিকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও  বিভিন্ন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে।এ ছাড়া কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে না কোনো গণপরিবহন। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশকে। সেই সাথে রাস্তায় যানবাহন আটক করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি চালক ও যাত্রীদের গন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও পুলিশ। সদুত্তর পেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে অন্যথায় তাদেরকে চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। জেলা পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান বলেন, বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হলে এবং বিধিনিষেধ  অমান্য করলে তাকে কঠোর আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। এবার রিকশা ব্যবহার করা গেলেও কোনো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ব্যবহার করা যাবেনা। তা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছে এর বাইরে কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সেগুলো নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।জেলার প্রত্যেক থানা ও পুলিশ ফাঁড়িকে ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here