বান্দরবানের রুমায় আ.লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ

0
759

প্রতিনিধি, রুমা: কোভিড -১৯ সংক্রমণের  দেশ ক্রান্তি লগ্নের পরিস্থিতির আদলে  সুযোগ নিয়ে বান্দরবানে রুমায় ২০২০/২০২১ অর্থ বছরে এডিপি”র প্রকল্পের কাজ ভাগিয়ে নেওয়া গুরুত্বর অভিযোগ‌ উঠেছে। রুমাযর উপজেলার  ৩নং রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের  মেনরন ম্রো পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়া রাস্তার ছোট ঝিড়িতে গেট ওয়ালে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণের প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে জনসম্মুখে। সরকারি বিধিবিধান মোতাবেক কোন সরকারি চাকরি জীবি সরকারের প্রকল্পের অংশিদার হওয়ার বিধিবিধান এখতিয়ার বহির্ভূত ভিতরে পড়ে কিনা এমন প্রশ্ন ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়া, দোকান পাট,চা দোকানে। সচেতন মহলের কাছেও এমন কর্ম কান্ড বোধগম্য নয়। উপজেলা পরিষদের উসাইমং মার্মা  সাঁট মূদ্রাক্ষরিক কাম- কম্পিউটার অপারেটর সহ  ৩নং রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্রকল্পে সভাপতি সাক সিং ম্রো’র সাথে যোগসাজশে উপজেলা চেয়ারম্যান’র উহ্লাচিং মার্মা অজান্তে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়েছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। এই কাজ বাস্তবায়নের তালিকায় ইট ৬০০টি, সিমেন্ট ১৫ব্যাগ, বালু আনুমানিক ৬০ফুট, মিস্ত্রী খরচ বাবদ,১০,০০০ হাজার, পরিবহন খরচ ৩০০০ হাজার। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে উপজেলা উন্নয়ন  সহায়তা (কোড-২২১০০০৪০০) খাতের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতির মেনরন পাড়া স্কুল যাওয়ার রাস্তায় ছোট ঝিড়িতে গেট ওয়ালে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণের প্রকল্পের জন্য  ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় এডিবি।

এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন, এডিবির প্রকল্প কাজের ব্যাপারে সিএ কাম-কম্পিউটার অপারেটর উসাইমং মার্মা কি করেছে তা জানা নেই। কাজের  যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ‌তিনি বলেন আমি কিছুই জানি না এমন কি এই প্রকল্পের বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইয়ামিন হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজে কোন উপজেলা পরিষদের সদস্য বাস্তবায়নের কাজে লিপ্ত হওয়া প্রশ্নই আসেনা । এই ধরণের কাজের প্রতি  উপজেলার পরিষদে কোন সদস্য অনিয়ম করে থাকলে প্রকল্পে সভাপতি’র সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান । সিএ” উসাইমং মার্মার কাছে সাংবাদিকরা দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের কাজ পেয়েছে সাকসিং ম্রো (বর্তমান মেম্বার)। উসাইমং মার্মা দাবি করেন, ম্রো মেম্বার  প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে পাড়ারবাসীরা বিভিন্ন ধরণের খারাপ কথা বলতে পারে বলে তাই আমাকে (সিএ) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পার্টনার হিসেবে নিয়েছে।  আমরা দুইজন ভাগাভাগি করে কাজ করেছি। লাভের লভ্যাংশও আমরা সমান ভাগ বন্টন করেছি বলে জানান তিনি। প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে আমি তাকে ৭,০০০হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আরোও বলেন, এই ২০২০/২০২১ অর্থ বছরে এডিপি প্রকল্পের  কোন কাজেই স্বচ্ছতা হয় নাই। সবাই দুই নাম্বারি করে চলে এতে মহাভারত কিছুই হবেনা বলে কথা উড়িয়ে দেই সিএ। মেনরন ম্রো পাড়ার উদ্দিয়মান নেতা রেইনং ম্রো (ম্রো সোস্যাল কাউন্সিল রুমা শাখা সাধারণ সম্পাদক) বলেন, প্রতিনিধি বিহীন পশ্চাপদ ছোট ছোট জনগোষ্ঠীর হওয়ায় সব দিক থেকেই আমরা অবহেলিত প্রকল্পের সভাপতি সাকসিং ম্রো’র এর  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিএ উসামং মার্মা ঐ প্রকল্পে আমাকে সভাপতি করার কথা বলে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রকল্পের এই টাকা কি করেছে তা আমাকে এখনো জানায়নি।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here