প্রতিনিধি, টেকনাফ:
দেশ জুড়ে সাতদিনের ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারগুলোতে। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগি ও পেঁয়াজের এবং সবজির বাজারও। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সব পণ্যের দাম। বাজারগুলোতে ক্রেতারা বলছেন, লকডাউনে ক্রেতা কম বলেই কি হাতিয়ে নিচ্ছেন সবজির দাম। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজার, ষ্টেশন কাঁচা বাজার, সদর ইউপির বটতলী বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বাজারে বেশিরভাগ প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০/৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০/৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৫০/৬০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। শসার দাম ৬০ টাকা। কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ষ্টেশন কাঁচাবাজারের রাজ্জাক মিয়া বলেন, লকডাউনে সবজির দাম বেড়েছে। কিন্তু লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়াতে বাজারে ক্রেতা কম আশায় সবজির ক্ষতির আশংকা করেন। এছাড়াও রসুনের কেজি ৯০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০/১১০ টাকা। হলুদ ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্যাকেটকৃত চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১১০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে লাল (লেয়ার মুরগি) বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ৯০ থেকে ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকা। পৌর বাজারে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৬০/১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০/২৭০ টাকা। কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের খামারিরা সিন্ডিকেট করে বাজারে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও লকডাউনের আগে ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটায় বেড়েছে মুরগির দাম। এসব বাজারে চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এতে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। কিছুটা অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা, মহিষের মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ