প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ:
কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে শিমুলিয়া ফেরি ঘাট যেনো অচেনা এক জনপদ। নেই যাত্রীর কোলাহন। যানজট শূন্য পাকিং ইয়ার্ড। রাস্তার পাশে লাইনে নেই কোন পণ্যবাহি ট্রাক। ঘাটের এরকম অবস্থা বহু বছর দেখা যায়নি। তাই ঘাটে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকলে এক বাক্যে বলছেন বহু বছর ঘাটের এরকম চিত্র দেখিনি।শনিবার ৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটের চিরচেনা সেই যাত্রীদের কোলাহল নেই। দোকানপাট বন্ধ। পাকিং ইয়ার্ডে নেই কোন গাড়ী। ঘাটের রেস্টুরেন্ট পাড়ায় নেই ডাকাডাকি। করোনার কারণে রেস্টুরেন্টগুলো এমনিতেই বন্ধ। দায়িত্বরত ট্রাফিক, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি’র সদস্যরা একবারে অলস সময় পার করছে। গাড়ী না থাকায় তারাও ঘাটের বিভিন্ন স্থানে বসে সময় পার করছে। ফেরি থাকলেও যানবাহন না থাকায় ফেরিগুলো ঘাটে অলসভাবে নোঙরে আছে। গাড়ীর জন্য ফেরিগুলোকে পল্টুনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। গত ৩ দিনের কঠোর লকডাউনের কারণে তেমন কোন যানবাহন না থাকায় রাস্তার পাশে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পন্যবাহি ট্রাকগুলো ইতিমধ্যে ফেরি যার হয়ে গেছে। তাই ঘাটের চিত্র এখন অন্যরকম। মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জেএম সিরাজুল কবির জানান, শিমুলিয়া ঘাটে আমার কর্মজীবনে এমন পরিবেশ আর দেখিনি। ঘাট পরিণত হয়েছে সুনসান এক জনপদে। লকডাউনে তেমন যানবাহন না থাকায় যাত্রী ও যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ঘাট। শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নজরে পড়বে সকলের।বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘাটে ১৪টি ফেরি পারাপারে নিয়োজিত থাকলেও যাত্রী ও যানবাহন না থাকায় ফেরি গুলোকে গাড়ীর জন্য ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষানয় নেই কোন গাড়ী। বিভিন্ন সময়ে নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল ১০-১২ দিন বন্ধ থাকলেও ঘাটে এরকম চিত্র কখনও দেখা যায়নি। কঠোর লক ডাউনের কারণেই এরকম হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ