নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেএকোনার মদনে সরকারি প্রকল্পের কাজে বাঁধা দেননি, এলাকাবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খোর্শেদ আলমের ছেলে পুলিশ সার্জেন্ট সোহাগ আহমেদ (রকি) । সরকারি কাজে বাঁধা দিয়েছে একথাটি মিথ্যা ।রকি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় জড়িত থাকে, আমরা তার সহযোগিতা সবসময় পাই । সে তো বাড়িতেই নাই সে বাঁধা দিবে কি করে । জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামের রাস্তা নির্মাণের কাজে প্রকল্প বরাদ্দ হয় ৭৬ হাজার টাকা। হাজরাগাতী ও জয়পাশা গ্রামের লোকজন বলেন, জাহাঙ্গীরের বাড়ি হতে, যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা মৃত খোর্শেদ আলমের ছেলে পুলিশ সার্জন্ট সোহাগ আহমেদ( রকির) বাড়ির সামনে দিয়ে একটি নালা বয়ে গেছে। এই নালা দিয়ে পুরো এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়। এটি বন্ধ করলে পুরো এলাকা পানিবন্দী হয়ে যাবে । এলাকাবাসী এ কথা ও বলেন পি আই সি কোন দিক দিয়ে রাস্তার বরাদ্দ এনেছে আমাদেরকে নিয়ে কোন আলোচনাও পর্যন্ত করেননি। পুলিশ সার্জেন্ট সোহাগ আহমেদ (রকি) বলেন, আমি একজন সরকারি চাকরিজিবি ৬ মাস হয় বাড়িতেই যায়নি । দেশে করোনা মহামারির ডিউটি করছি। আমি কি করে আমার লোকজন নিয়ে সরকারি রাস্তার নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছি, একথা বানানোয়াট ও সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হেনা আক্তার বলেন, পুলিশ সার্জেন্ট সোহাগ আহমেদ(রকি) কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে নাই, এমনকি সে উপস্থিতও ছিল না। কাইটাইল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাফায়াতুল্লাহ রয়েল বলেন- পুলিশ সার্জেন্ট সোহাগ আহমেদ( রকি) কাজে বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন- কাজের পি আই সি ইউপি সদস্য হেনা আক্তার পুলিশ সার্জেন্টের ব্যাপারটা উনি জানেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এ প্রতিবেদককে আজ ৪ জুলাই-২০২১, রবিবার জানান- পুলিশ সার্জেন্ট সোহাগ আহমেদ ( রকি) এলাকায় উপস্থিত ছিল না, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৪ জুলাই -২০২১/আর এম