জয়পুরহাটে চুল কেটে নেয়ার অভিযোগ স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার-১

0
440

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ০৫ জুলাই,জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুরাইল গ্রামে স্বামী সুলতান কাজী (৫০) ও তার সতীন তারা বানুর (৫০) বিরুদ্ধে গৃহবধূর মাথার চুল কেটে নির্যাতন করার আভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা হলে সতীন তারা বানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সতীন তারা বানুকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হলেও স্বামী পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসী ও ক্ষেতলাল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রোববার মধ্যরাতে ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামে গৃহবধূ বিউটি খাতুন (৪০) এর মাথার চুল কেটে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর আভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত বিউটি খাতুন ওই গ্রামের সুলতান কাজীর প্রথম স্ত্রী। সুলতান কাজী (৫০) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বানু (৫০) শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে বিউটির মাথার চুল কেটে নেয়। ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত বিউটি খাতুনের চিকিৎসা চলছে। এ বিষয়ে গৃহবধূ বিউটির বাবা মোখলেছার রহমান বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় ৩ জনকে আসামী করে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ গৃহবধূ বিউটির সতীন তারা বানুকে গ্রেপ্তার করেছে। গৃহবধূ বিউটি খাতুন জানান, তার স্বামী বাড়ি থেকে আসবাবপত্র নিয়ে সতীনের বাড়িতে যেতে চাইলে সে তাতে বাধা দিলে স্বামী ও সতীন মিলে তার উপর নির্যাতন করে ও মাথার চুল কেটে দেয়। গৃহবধূ বিউটি খাতুনের মেয়ে সীমা খাতুন বলেন, আমার বাবা তিন মাস পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মায়ের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। আজকে আমার মায়ের উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার সুষ্ঠ বিচার চাই। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন,গৃহবধূ বিউটির বাবা তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন /৫ জুলাই /২০২১ / এম এইচ সি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here