মাজেদুল ইসলাম, মিরপুর:
টানা চারদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার খুলেছে ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাতদিনের বিধিনিষেধে আগের চারদিন রাজধানীর সড়কে মানুষের সংখ্যা কম হলেও ষষ্ঠ দিন সকাল থেকে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বেড়েছে পথচারী ও নানা প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচলও। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে। এদিকে, করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। বিধিনিষেধের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। মঙ্গলবার (৬জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর এক মিরপুর দশ, মিরপুর প্রসিকার মোড়ে দেখা যায় মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিভিন্ন যানবাহনের চাপ। ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি বের হওয়ায় চেকপোস্টে গুলোতে লাম্বা লাইন দেখা যায়। গত চারদিনে রাজধানীর কোনো সিগন্যালেই অপেক্ষা করতে না হলেও ষষ্ঠ দিনে প্রতিটি সিগন্যালেই লম্বা লাইন যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো সিগন্যালে প্রায় ৮ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়। মিরপুর-১ নম্বর টেকনিক্যাল সিগন্যালে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন এর টি আই জিন্নাত আলি বলেন, ‘ সকাল থেকে রাস্তায় মানুষের যে চাপ তা দেখে মনেই হবে না দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। যারা বের হয়েছেন তারা হয়তো জরুরি প্রয়োজনেই বের হয়েছেন, তবে একসঙ্গে এত মানুষের চাপ প্রতিটি রাস্তায় হলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। মানুষের চলাচল যেমন বেড়েছে তেমন ব্যক্তিগত যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় সবাইকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি সিগন্যালে ১০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। তবে আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’ এদিকে ঢাকার শেরেবাংলা নগর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, শাহবাগ, কাওরানবাজার, ফার্মগেটসহ প্রায় এলাকাতেই একই চিত্র বিরাজমান।
আলোকিত প্রতিদিন /৬ জুলাই ,২০২১ / দুখু