মারুফ বিল্লাহ, বাগেরহাট:
পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ বাড়বে। এই অবস্থায় মোংলা বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে জার্মানি থেকে কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক ৫টি মোবাইল হারবার ক্রেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমে ১৫ জুন দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন আমদানি করে। বুধবার বিকালে বাকি ৩টি ক্রেন নিয়ে বন্দর জেটিতে ভিড়েছে বিদেশী জাহাজ ‘ইমকি’।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, “সকাল থেকে ১৩ শ’ ৩২ টন ওজনের ৩টি ক্রেনসহ ৮০টি প্যাকেজে করে আনা মূল্যবান যন্ত্রাংশ খালাস করা হচ্ছে।পাঁচ দিনের মধ্যে খালাসের পর ৫টি ক্রেন জার্মান প্রকৌশলীদের দিয়ে বন্দরের জেটিতে যুক্ত করা হবে। জার্মানির লিভার কোম্পানি তৈরি ৫টি ক্রেন কিনতে মোংলা বন্দরের ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। সাইফ পাওয়ার লিমিটেড এই ক্রেন সরবরাহ করেছে। এই ক্রেন দিয়ে বন্দরে ১২ সারিতে রাখা জাহাজের কন্টেইনার একসঙ্গে খালাস করা সম্ভব হবে। এতে করে বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও সমুদ্র বন্দর মোংলা নতুন রেকর্ড গড়েছে। গেল অর্থবছর বন্দরে সর্বোচ্চ ৯৭০টি জাহাজ ভিড়েছে। খালাস হয়েছে রেকর্ড ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ টন পণ্য। রিকন্ডিশন গাড়ি এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭টি, যা থেকে রেকর্ড ৩৪০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বন্দর উন্নয়নে আরও প্রায় ৭ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাস্টার প্লান তৈরির কাজ চলছে এবং এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে ১৯৫০ সালে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দ্যা সিটি অব লায়ন্স’ সুন্দরবনের পশুর নদীর জয়মনিরগোল এলাকায় নোঙর করে। এর মধ্যে যাত্রা শুরু হয় মোংলা বন্দরের।
আলোকিত প্রতিদিন /৮ জুলাই,২০২১ / দ ম দ