খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত খাগড়াছড়ি যা সন্ত্রাস দমন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। ৯’ই জুলাই শুক্রবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিন্দুকছড়ি সেনা জোন হতে একটি টহল দল ভোর রাতে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার ছনখোলাপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় সন্ত্রাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী গ্রূপ ০১ রাউন্ড গুলি করলে, প্রতিউত্তরে নিরাপত্তা বাহিনী ০৪ রাউন্ড গুলি বিনিময় করে এতে পিছু হটে কিছু সন্ত্রাসী ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের ঘটনাস্থল ঘিরে পেলায় হাতে নাতে ০২টি এলজি, ৫টি চাঁদা আদায় বই, ৫টি চাঁদা রশিদ, ২টি মানিবেগ, ২টি বেগ, ০৬টি মোবাইল সেট, নগদ ৩৭৮৫.০০ টাকাসহ ০৪ জন ইউপিডিএফ (মূল) দলের দুস্কৃতিকারীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, ইউপিডিএফ (মূল) দলের সন্ত্রাসী মানিকছড়ি এলাকার প্রধান টোল আদায়কারী দুর্জয় চাকমা (৩২), পিতা-বাগরা কুমার চাকমা, মরাদংপাড়া, গচ্ছাবিল, মানিকছড়ি, সহকারী টোল আদায়কারী অংথই মারমা (২২), পিতা-অমিও মারমা, রিমাপাড়া, মানিকছড়ি, সহকারী টোল আদায়কারী কংচাই মারমা (১৯), পিতা-মৃত সাথই মারমা, রিমাপাড়া, মানিকছড়ি, সহকারী টোল আদায়কারী চাইলা মারমা (১৯), পিতা-লাব্রেচাই মারমা, রিমাপাড়া, মানিকছড়ি। সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের টোল আদায়ের জন্য একজন সহকারী থাকে এতে চাঁদা আদায় করতে অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে তাই বেশ কয়েকজন’কে সহকারী করে দলবদ্ধ হয়ে টোল আদায়ের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। দুস্কৃতিকারীদেরকে অস্ত্র এবং জব্দকৃত সরঞ্জামাদিসহ গুইমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। গুইমারা থানা থেকে জানা যায় আটককৃত দুর্জয় চাকমা এর বিরুদ্ধে রামগড় থানায় অবৈধ অস্ত্র এবং হত্যার অভিযোগে আগেও দুটি মামলা রয়েছে এবং সে পলাতক আসামি ছিলো। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেষ্ট আছি কিন্তু যে সকল সন্ত্রাসীকে আটক করি তাদেরকে বাঁচাতে সমতলে নরমাল কোন মামলা দিয়ে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী তাদের’কে জামিন করে নেয় সশস্ত্র সংগঠন গুলো। এতে আবারও জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে।
আলোকিত প্রতিদিন / ৯ জুলাই /২০২১ / এম এইচ সি