নিষেধাজ্ঞার পরেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী পারাপার

0
292

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ :
ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি , যাত্রী পরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও, তা মানা হচ্ছে না। সরকারের সর্বাত্মক বিধি-নিষেধের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার ৯ জুলাই থেকে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি বা যাত্রী ফেরিতে নেওয়া হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার থামছে না। শনিবার ১০ সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে শতশত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি পদ্মা পার হতে দেখা যায়। এতে ফেরিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যাত্রী কমতে থাকে। দুপুরের পর ঘাট যাত্রীশূন্য হয়ে যায়। তবে, পদ্মা পারের অপেক্ষায় আছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স। এ নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ১০টি। যেসব প্রাইভেটকার ফেরিতে পার হচ্ছে সেগুলো উপযুক্ত জরুরি কারণ দেখাতে পারছে বলে দাবি করছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে আসা যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে বাধা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। চেকপোস্টে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের এটি দেখার কথা। আমাদের দায়িত্ব ফেরি পরিচালনা করা। জরুরি পরিষেবার পণ্যবাহী যানের জন্য যদি ফেরি চালু করি আর সেখানে যদি সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়ে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে আটটি চেকপোস্ট পার হয়ে আসতে হয়। কাজেই যারা এতগুলো চেকপোস্ট পার হয়ে ঘাটে চলে আসেন তারা জরুরি কাজেই তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছেন। এ মুহূর্তে ঘাটে শতাধিক যান ছাড়া কোনও যাত্রী নেই।

আলোকিত প্রতিদিন /১০ জুলাই,২০২১ / দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here