নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করতে আনুমানিক এক মাস সময় লাগবে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী সবুজ দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী জানান, মরদেহগুলো থেকে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করার জন্য দাঁত ও হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দাবিদারদের থেকেও তাঁদের রক্ত ও সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিখোঁজের বাবা-মা অথবা ভাইবোনের নমুনা নেওয়া হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। দাবিদাররা যতক্ষণ পর্যন্ত আসবে, নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩০টি মরদেহের জন্য ৪২ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বলেন, ‘যে নমুনাগুলো সংগ্রহ করেছি, ল্যাবে সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আনুমানিক এক মাস সময় লাগবে। পরে জেলা প্রশাসন ও রূপগঞ্জ থানার মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর মুনির বলেন, আমাদের জন্য কাজটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ মরদেহগুলো পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহগুলো নিশ্চিত করার জন্যে গতকাল থেকেই কাজ করছি। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সেজান জুসের কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
আলোকিত প্রতিদিন/১০জুলাই-২১/এইচ