প্রতিনিধি, নেত্রকোনা:
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন কালীন সময়ে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করেই নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার (৫ নং সমাজ সহিলদেও) ইউনিয়নের জসিম বাজার নামকস্হানে এক বিশাল পশুর হাট বসানো হয়েছে (১১ জুলাই) রবিবার। সরেজমিনে দেখা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের সমাজ বাজারের দক্ষিণ পাশে জসিম বাজার নামকস্হানে বসেছে এক বিরাট পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হতে অনুরোধ করলেও তার কোনটাই না মেনে হাটটি বসিয়েছে(জসিম বাজারের মালিক জসিম উদ্দিন ) হাট পরিচালনা কতৃপক্ষ। অথচ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে গরুর পাইকার ও ক্রেতারা হাটে আসায় এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গরু বিক্রি করতে আসা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, কোরবানী ঈদের জন্য গরু লালন পালন করে তা হাটে বিক্রি করতে আনছি। সামনে ঈদের আছেই আর কয়দিন বিক্রি করতে না পারলে সম্যসায় পড়তে হবে। এদিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নে জসিম বাজার হাটেও লকডাউনের মধ্যে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে পশুর হাট বসিয়েছে হাটের ইজারাদাররা। হাটে অধিকাংশ ক্রেতার মুখেই মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ক্রেতা-বিক্রেতাকে হাটে পশু নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মোহনগঞ্জের জসিম বাজার হাটের ইজারাদার জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কিসের করোনা কোনো করোনা নাই সব কিছু বাউতাবাজী । এদিকে কঠোর লকডাউনের একাদশ দিনে স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি ও অভিযান সত্যেও সরকারি বিধি নিষেধ মানায় অনাগ্রহ দেখা গেছে। অনেকেই দোকানপাট খোলা রেখে করছে ওপেন ব্যবসা, চেষ্টা করেছেন এবং বিনা কারণে রাস্তাঘাটে চলাফেরা ও আড্ডা দিতে দেখা গেছে। মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে শুধূ পশুর হাট নয় কোন ধরণের হাট বসানোর সুযোগ নেই। কেউ সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে পশুর হাট বসিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন /১১ জুলাই,২০২১ / দ ম দ