সিরাজদিখানে কঠোর লকডাউনেও বাড়ছে হাট-বাজারে লোকের সমাগম

0
306

প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা , রাজধানী ঢাকার সীমানা ঘেঁষে এই উপজেলা । করোনা সংক্রমাণ ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। কঠোর লকডাউনের ১১তম দিনে রবিবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার হাট-বাজার গুলেতে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে লোকসমাগম বেড়েছে । এদিকে গত কয়েক দিনে এই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যাও বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশে । রাজধানীর পাশ্ববর্তী এই উপজেলা দিয়ে গেছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মহা সড়ক। নানান সমীকরণে সিরাজদিখান উপজেলা দিনদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের হট স্পষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে। তবে লগডাউনের ১১ তম দিনে রবিবার উপজেলার হাট-বাজের মানুষের সমাগম দেখে বুঝার উপাই নেই এখানে লকডাউন চলছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল-বিকাল নিয়মিত বসছে দৈনিক বাজার। ফলে বহু লোক সমাগমের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। সরেজমিনে উপজেলার ইছাপুরা বাজারে দেখা যায়, লোকসমাগমের ভিড়, কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে না। লোকজন দল বেধে যাতায়াতসহ আড্ডা দিচ্ছে। এসব অসচেতন লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও অন্য সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান বাজার, বালুচর বাজার,তালতলা বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে নানা বয়সের মানুষ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অবাধে হাট-বাজার করছে।বাজার গুলোর প্রবেশ পথে দেখা গেছে লোক গাদাগাদি করে চলাচল করছে ইজিবাইক, ভ্যান রিকসাসহ ছোট-ছোট যানবাহন। এমন দৃশ্য সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে সিরাজদিখান উপজেলার প্রায় সর্বত্র। তবে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মহা সড়কের চিত্র ভিন্ন। সেখানে যানবাহন ছিলো শূন্য, লোক সমাগম খুব একটা দেখা যায়নি। উপজেলার হাট-বাজার ও গ্রামগুলোতে গোপনে বা প্রকাশ্যে চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা, খাবারের হোটেলে ভির। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি জেনেও অনেকে বিরূপ মন্তব্য করে বসে গ্রামের মানুষ। এ ছাড়াও গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রা চলছে স্বাভাবিকভাবেই। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে।তবুও কিছু মানুষ নানান অজুহাতে অকারণে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে হাট বাজারে চলে আসছে। আইন ভঙ্গকারীকে জরিমানাও করছি আমরা, তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করেতে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলছি। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার বিকল্প নাই,। সকলের চেষ্টা করে যাচ্ছে সম্মিলিত সহযোগিতায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে সিরাজদিখান উপজেলা বাসীকে রক্ষা করতে। সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারব।

আলোকিত প্রতিদিন /১১ জুলাই,২০২১ / দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here