নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাই উপজেলার ২০২০-২১ অর্থ বছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশু পালনকারীদের প্রণোদনা টাকা বিতরণে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। যার গাভী নেই বা কোনদিন পালনও করেনি, এমন ব্যক্তি ও প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকার প্রণোদনা ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা পর্যায় ১৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় খামারিদের তালিকা প্রস্তুত করেন ১৭ জন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এল এসপি)। যাচাই-বাছাই করে এ তালিকা পাঠানো হয়েছে প্রকল্পের হেডকোয়ার্টারে। পরে খামারিদের গাভীর সংখ্যানুপাতে (যারা ২-৫ টি গাভী পালন করে সে ১০ হাজার টাকা করে, ৬-৯ টি গাভী পালন করে ১৫ হাজার টাকা,ও ৯-২০ টি গাভী পালন করে সে পাবে ২০ হাজার টাকা) প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে খামারিদের নগদ কিংবা বিকাশ নাম্বারে।
ঢাকার ধামরাই উপজেলার ২০২০-২১ অর্থ বছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশু পালনকারীদের প্রণোদনা টাকা বিতরণে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। যার গাভী নেই বা কোনদিন পালনও করেনি, এমন ব্যক্তি ও প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকার প্রণোদনা ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা পর্যায় ১৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় খামারিদের তালিকা প্রস্তুত করেন ১৭ জন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এল এসপি)। যাচাই-বাছাই করে এ তালিকা পাঠানো হয়েছে প্রকল্পের হেডকোয়ার্টারে। পরে খামারিদের গাভীর সংখ্যানুপাতে (যারা ২-৫ টি গাভী পালন করে সে ১০ হাজার টাকা করে, ৬-৯ টি গাভী পালন করে ১৫ হাজার টাকা,ও ৯-২০ টি গাভী পালন করে সে পাবে ২০ হাজার টাকা) প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে খামারিদের নগদ কিংবা বিকাশ নাম্বারে।
প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনা প্রদানে তালিকা তৈরী থেকে প্রণোদনা টাকা প্রাপ্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। করোনাকালিন এই সঙ্কট মুহূর্তের জন্য প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) গাভী খামারিদের প্রণোদনার জন্য দুই ধাপে প্রায় ১ হাজর ৬৪৪ জন খামারিদের অনুকূলে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আসল খামারিরা প্রণোদনা টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। খামারি না হয়ে ও ভাগ ভাটোয়ারার শর্তে স্বানীয় দালালও এল এসপির মাধ্যমে অনেকেই তালিকা ভৃক্ত হয়ে টাকা পেয়েছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে খামারিদের ও ভৃক্ত ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এমন ভয়ানক দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে।
জানা গেছে ভাড়ারিযা ইউনিয়নের মোড়ারচড় গ্রামের দুই সহোদয় শহিদুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান, মঞ্জু মিয়া, তফিজ উদ্দিন, বজলুল রহমান, মোরাদ হোসেন, আলামিন গাভী পালন করে না,তারাও প্রণোদনার টাকা পেয়েছে। সরজমিনে দেখা যায় দুই ভাই শহিদুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমানের শুধু থাকার ঘর রয়েছে গাভী পালন করার মত কোন গোয়ালঘর নেই তাদের বাড়িতে। তবে প্রণোদনার ১০ হাজর টাকা পেয়েছে বলে স্বীকার করেন। স্থানীয়রা জানান, যারা প্রণোদনার টাকা পেয়েছে তারা কেউ গাভী পালন করে না। একই গ্রামের চান মিয়া ও নরু মিয়া বলেন, আমরা গাভী পালন করি অথচ আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়নি ঘুষ দিইনি বিধায়। বৈষ্টবদিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বলে ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছি এর আগে আমার কাছ থেকে এক হাজার দুইশত টাকা ঘুষ নিয়েছে কামরুল হাসান কাফি। ওই ইউনিয়নের এল এসপি নুসরাত জাহান পলির স্বামী। টাকা নেওযা বিষয় নুসরাত জাহান পলি বলে কেউ যদি গিফট করে তাহলে অসুবিধা কোথায়। কুশুরা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন বলেন। তালিকা প্রস্তত করার সময় আমাদের জানানো হযনি। আমাদের ইউনিয়নের যাদের গাভী নেই তারাও প্রণোদনার টাকা পেয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন খামারিদের প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়েছে। এটি আমি জানি, তবে খামারিদের তালিকা আমার কাছে নেই সব জানে প্রকল্পের(এলডিডিপ)সম্পসারণ কর্মকর্তা ডাঃ নাছির আহমেদ।
এ বিষয়ে ডাঃ নাছির আহমেদ বলে, তালিকা তৈরি করেছে প্রকল্পের এল এসপিরা তাই তালিকা করার কিছুটা ভৃলত্রুটি হতে পারে। তবে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা রকিফুজামান বলেন,অনিয়ম আর দুর্নীতি হয়েছে, এটা আমি ও শুনেছি তবে সরেজমিনে তদন্তে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন /১২ জুলাই,২০২১ / দ ম দ