প্রতিনিধি, মহেশখালী:
মহেশখালীতে ব্যবসায়ী জালাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়নি দীর্ঘ এক বছরেও। এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খোলা বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে খুনিরা। এদিকে নিহতের পরিবারের চলছে শোকের মাতম আর নিরাপত্তাহীনতার অভাব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই দিবাগত রাত একটায় মহেশখালী পৌরসভার চর পাড়া গ্রামে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হন জালাল নামের এক মুদি ব্যবসায়ী। সে একই গ্রামের ফোরকান আহমদের পুত্র। তৎকালীন থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস খুনের রহস্য উন্মোচন করে খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলেও সেই আশ্বাস শুনতে শুনতে দীর্ঘ এক বছর পার হলো। কিন্তু খুনের কারণ ও খুনিরা অজ্ঞাত থেকে গেল এখনো। নিহতের পরিবার জানান, ব্যবসায়ী জালালের সাথে বা তাদের পরিবারের সাথে কারো শত্রুতা নেই। জালাল যেদিন রাতে খুন হবে সেদিন সারাদিন দোকানে কাজ করেছিল। রাতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে প্রতিদিনের মতো দোকানে ঘুমোতে যান। ওই দিন রাত একটায় দোকানে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। জালালের শরীরে ২০/২২টি ছোরার আঘাত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান তারা। এলাকাবাসীরা জানান, জালাল হত্যাকাণ্ডের সাথে পরিচিত জনদের সম্পৃক্ততা ছিল। কেননা ঘটনার দিন রাতে জালালকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়। সে খুনিদের দোকান খুলে দেন। দোকানে জোর করে প্রবেশের কোনো চিহ্ন ছিল না। এছাড়াও দোকান থেকে কোন কিছু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তারা আরো জানান, প্রতিদিন রাত দশটায় দোকান বন্ধের পর জালাল কারো জন্য দোকানের দরজা খুলে না। তাদের মনে হচ্ছে খুনিরা তাদের মাঝে বিচরন করছে এখন। এত ক্লু থাকার পরেও কেন এক বছর ধরে জালাল হত্যা রহস্য জানা যায়নি তা প্রশ্নের সৃষ্টি করে। জালাল হত্যার পর থেকে এলাকায় সবার মাঝে অজানা আতংক কাজ করছে। অজ্ঞাত খুনিরা যে কোন সময় হানা দিয়ে যে কাউকে মারতে পারে এমন শঙ্কা তাদের মাঝে। নিহতের বড় ভাই জাহিদ সওদাগর বলেন, “আগের পুলিশ তেমন সহযোগিতা না করলেও বর্তমান পুলিশ আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করছে। প্রশাসনের কাছে আমার ভাই জালাল হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।”
আলোকিত প্রতিদিন /১৩ জুলাই,২০২১ / দ ম দ