প্রতিনিধি, সারিয়াকান্দি (বগুড়া):
সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ অবশেষে ধর্ষক তারাজুল ইসলাম (৪০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১ মাস পর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের এস.আই মো: মাহাবুব হাসান জানান, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামের এক বিধবা নারীকে ধর্ষণ করে তারাজুল। একই গ্রামের আফজাল ফকিরের ছেলে তারাজুল ইসলাম ৭ মাস পূর্বে স্থানীয় একটি চাতালের পার্শ্বে বাঁশ ঝাঁড়ের নিচে সন্ধার দিকে একা পেয়ে জোড় পূর্বক তাকে ধর্ষন করে। এর ফলে সে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পরেন। পরবর্তি সময়ে তারাজুল গর্ভবতি ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজি হলেও থানায় অভিযোগ দায়েরের কিছুদিন পূর্বে আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিধবা গর্ভবতি নারী গত ৬ জুন সারিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত ভার দেওয়া হয় এস.আই মো: মাহাবুব হাসানকে। এস.আই মো: মাহাবুব হাসান জানান, অভিযোগটি দায়েরের পর থেকেই ধর্ষক তারাজুল ইসলাম শশুরবাড়ী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকপা সহ বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেয় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহারের পরবর্তিতে নতুন একটি নাম্বারের সিম কিনে ব্যবহার শুরু করে দেয় তারাজুল। কৌশলে নাম্বারটি সংগ্রহ করার পর তারাজুলের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা হয়। এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার কালিতলা নৌ ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ওই খানে প্রায় ঘন্টা খানেক চা-নাস্তা খাবারের ফাঁকে ফাঁকে খোস গল্পের শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকাল ১১ টায় বগুড়া মেজিস্ট্রেট কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। ধর্ষক তারাজুলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জুলাই ২০২১/ আর এম