সীতাকুণ্ডে ১৪ টি স্থানে কোরবানির হাঁট, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হাঁটে থাকবে-প্রশাসন 

0
342
প্রতিনিধি,  সীতাকুণ্ড:
জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে নির্দেশনা পাওয়ার পর সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এবছর স্থায়ী ও অস্থায়ী গরুর হাঁটের ইজারা ডাক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (১৩ জুলাই) বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইজারা ডাকের মাধ্যমে সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ ১১ টি স্থানে অস্থায়ী হাঁট এবং আরো ৩ টি স্থানে স্থায়ী হাঁটের অনুমতি দেয়া হয়। স্তায়ী হাঁটগুলোর মধ্যে রয়েছে পৌরসভাস্থ ফকির হাঁট,  কুমিরা হাঁট, বড় দারোগার হাঁট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী ও অস্থায়ী হাঁট ডাক নেয়ার জন্য ইজারাদাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। আবেদনকারীদের ডাক উঠার মাধ্যমে ১৪ টি স্থানে  এ বছরের গরুর হাঁটের ইজারা দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন। পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনার তৎপরতা। (২১ জুলাই) বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার প্রথম দিন থেকে সারাদেশে শুরু হল কোরবানীর পশুর হাঁটের নানা কার্যক্রম।  আর কোরবানির হাঁটে বেচা-কেনায় সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রশাসন। দেশের অন্যান্য উপজেলার পাশাপাশি সীতাকুণ্ড উপজেলায়ও পশু মজুদ ও বিক্রির স্থান নির্ধারনে অস্থায়ী হাট ইজারা প্রদানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কারনে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে ১৫ টি দিকনির্দেশনা দিয়ে ১৪ টি স্থানে কোরবানির হাঁট বসাতে নির্দেশনা দেন চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত অস্থায়ী হাঁট সমূহের মধ্যে রয়েছে বাড়বকুণ্ড স্কুল মাঠ হাঁট, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, শেখের হাঁট, তোহর আলী ভূইয়ার হাঁট, মদন হাঁট, তোহর আলী হাঁট,  ছোট দারগার হাঁট,  ভাটিয়ারী উত্তর বাজার, মাদাম বিবির হাঁট, ফৌজদার হাঁট সলিমপুর সিডিএ এলাকায় অস্থায়ী হাঁট বসবে।
এদিকে চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানির হাঁটকে ঘিরে চলছে গরু মজুদের হিড়িক। তবে দেশে করোনা পাদুর্ভাবের ফলে মজুদকৃত পশু বিক্রি নিয়ে শংকিত প্রকাশ করছে স্থানীয় বিক্রেতারা। পৌরসদর বাজারের গরু বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, কঠোর বিধি-নিষেধে হাঁটে দেখা দিবে ক্রেতা সংকট দেখা দিতে পারে। গত এক মাস যাবৎ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মজুদ করা হয়েছে নানা জাতের ছোট-বড় মোটাতাজা পশু। কিন্তু ব্যবসার অনুকুল পরিস্থিতি না থাকায় লাভের চেয়ে পূঁজি উঠাতে হিমশিম খেতে হবে বলে আশংকা করছেন তিনি। এরপরও সকল প্রতিকুলতার মাঝেও অতি যত্নে পালিত পশু বিক্রি করে ভাগ্যের পরিবতর্নের চলছে শেষ চেষ্টা। কৃষক লোকমান হোসেন  প্রতিবেদককে বলেন, দেশীয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে পালিত পশুর অধিক চাহিদা থাকে বাজারে। নির্ভেজাল হওয়ায় স্থানীয় পশু কিনতে বেশি আগ্রহী ক্রেতারা। তাই পালিত পশুতে ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর কিছুটা আশা জেগেছে বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে অনুমোদনের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৪ টি  কোরবানির পশুর হাঁটের  ইজারা দেয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষনে নানাভাবে সজ্জিত হয়েছে স্থানীয় হাঁটগুলো। পদর্শিত হাঁটে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য বাঁশের খুঁটি লাগিয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সে সাথে রোগমুক্ত পশু যাচাই-বাচাঁইয়ে হাঁটগুলোতে পশু চিকিৎসক এবং জাল টাকা নিরীক্ষনে থাকবে বিশেষ টিম। করোনা প্রতিকুল পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে হাঁট পরিচলানার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬জুলাই-২১/এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here