করোনায়  আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি 

0
492
আলোকিত প্রতিদিন
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: 
মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধ রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রভাবে পারিবারের আয় বন্ধ থাকায় কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিউশনিও করাতে পারছেন না তারা। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত এসব অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটি।
জানা গেছে, করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ফান্ড সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি। ফান্ডে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে ফান্ডের অর্থ হতে প্রথম পর্যায়ে নয়জন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা করে  ১৮ হাজার টাকা ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। সবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় চলমান রয়েছে এই সহযোগিতা কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মুমতাহিন মান্নান সিয়াম বলেন, নিজেদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা  থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব জনহিতৈষী কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা ইদ পরবর্তী সময়ে বারবার লকডাউন দেখে সিদ্ধান্ত নেই, এই সময়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত  শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কি-না! কেননা স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের আয়ের সিংহভাগ উৎস হিসেবে টিউশনের সুযোগ কমে যাওয়ায় অনেকেই খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলো। আমাদের এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সাড়া দেয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ভাইয়া আপুরা। তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতা নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সদস্যদের দিকনির্দেশনা ও মডারেটরগণের পরামর্শে আমরা বেশ কিছু পরিমাণ অনুদান সংগ্রহে সফল হই।  তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রথম পর্যায়ে ৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ২ হাজার টাকা করে ১৮ হাজার টাকা আমরা ঈদ উপহার হিসেবে প্রেরণ করতে পেরেছি। ঈদের পরে এই প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবো।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ জুলাই-২১/এসএএইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here